আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

বাঙালির মুক্তির দাবিতে অনড় বঙ্গবন্ধুর চূড়ান্ত কর্মসূচির দিনগুলি

বিশেষ প্রতিবেদন, মুক্তমত 4 March 2022 ২৭৬

ডেস্ক।।

১৯৭১ সালের ১ মার্চ দুপুরে জাতীয় পরিষদের অধিবেশ বাতিলের ঘোষণার পর, উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। এরপর ছাত্রলীগের সভায় ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোল করা হয়। ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এদিকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১ মার্চ বিকাল থেকে পালিত চলমান বিক্ষোভ কর্মসূচি দমাতে সান্ধ্যআইন জারি করে পাকিস্তানিরা। তবে কার্ফু ভঙ্গ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পাকিস্তানি জান্তাদের গুলিতে বেশ কয়েকজন নিহত ও শতাধিক বাঙালি আহত হন।নিরস্ত্র জনতার ওপর পাকিস্তানিদের গুলি চালানোর প্রতিবাদে ৩ মার্চ বিকালে বিবৃতি দেন বঙ্গবন্ধু। ৩ মার্চকে শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন তিনি। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘বাংলাদেশে আগুন জ্বালাইবেন না। যদি জ্বালান, সেই দাবানল হইতে আপনারাও রেহাই পাইবেন না।’ এরপর ৭ মার্চ দুপুর ২টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসমাবেশের সবাইকে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানান।৩ মার্চের হরতাল প্রসঙ্গে ৪ তারিখের ইত্তেফাক পত্রিকায় বলা হয়, ‘হরতাল এদেশে বহু হইয়াছে। কিন্তু গতকালকের ঢাকায় হরতালের কোনো তুলনা নেই। সরকারি-বেসরকারি-স্বায়ত্তশাসিত কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীই অফিসে যায়নি।’২ মার্চ ঢাকায় ও ৩ মার্চ দেশব্যাপী চলমান হরতাল কর্মসূচি ৬ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করেন বঙ্গবন্ধু। ৭ মার্চের আগ পর্যন্ত সকাল ৬টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত সর্বাত্মক হরতালের ডাক দেন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান।বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের স্বাধিকার অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকিবে।’ জনতার উদ্দেশ্যে এক বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ‘সুশৃঙ্খল এ শান্তিপূর্ণভাবে পালন এবং যাতে কোনো লুঠতরাজ ও অগ্নিসংযোগের মতো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তৎপ্রতি কড়া নজর রাখার জন্য আমি জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। জনগণকে বিশেষ করিয়া ভাড়াটিয়া উস্কানিদাতাদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকিতে হইবে। বাংলার কণ্ঠ স্তব্ধ করা যাইবে না। শান্তি-শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে আন্দোলন চালাইয়া যান।’