
ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক আকিব
হোসেনসহ তদন্ত কমিটির সদস্যরা দুই শিশুর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। দুই শিশুকে ওষুধ সেবনের ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে রিঅ্যাকশন রহস্যজনক বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক আকিব হোসেন।
তিনি বলেন, যে সিরাপটি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার জন্য এরই মধ্যে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।’‘ওষুধ সেবনে’ দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় আজ রোববার (১৩ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে তদন্তে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, দুই শিশুর পরিবারের সদস্যরা বলছে ওষুধ সেবনের পরই তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। ওষুধটিতে কী এমন উপাদান ছিল, যেটি খাওয়ার ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে রিঅ্যাকশন করলো। বিষয়টি আসলে রহস্যজনক। এ রহস্য উদ্ঘাটন করতে হয়তো সময় লাগবে।
গত ১০ মার্চ রাতে আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে ‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ ইয়াছিন খান (৭) ও মোরসালিন খান (৫) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর বিষয়টি তদন্ত শুরু করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে দুই শিশুর বাড়িতে যান ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালকসহ পাঁচ কর্মকর্তা। এর মধ্যে দুজন উপ-পরিচালক ও দুজন সহকারী পরিচালক এবং একজন পরিদর্শক আছেন। পরে দুই শিশুর মা লিমা বেগম, চাচা উজ্জ্বল মিয়া ও দাদি লিলুফা বেগমের সঙ্গে কথা বলে সাক্ষ্য নেন তারা।