
ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
সয়াবিন তেলের অতিরিক্ত মূল্য চাওয়ায় প্রতিবাদ করায় এক ক্রেতা দোকানদারের মারধরের শিকার হয়েছেন। আজ শুক্রবার (১৮ মার্চ) বিকেল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের ফুলবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।মারধরের শিকার হওয়া ক্রেতার বাড়ী জেলার সরাইল উপজেলার তেলিকান্দি গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (৪৩)। তিনি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুবাদে পরিবার নিয়ে জেলা শহরের ফুলবাড়িয়ায় বসবাস করেন। ক্রেতা জাকির হোসেনে জুমার নামাজের আগে বাসার পাশের দোকান থেকে এক লিটার সয়াবিন তেল বাকিতে নেন জাকির হোসেন। বিকেলে আসর নামাজের পর তেলের মূল্য পরিশোধ করতে গিয়ে দোকানদার শাফিউদ্দিন তেলের দাম ১৮০ টাকা বললে জাকির হোসেন দোকানদারকে বলেন, বোতলে লেখা আছে ১৬০ টাকা, আপনি ১৮০ টাকা নেবেন কেন এ কথা বলার পর দোকানদার দোকানে থাকা একটি তেলের বোতল হাতে নেন। সেই বোতলে মূল্য লেখা ছিল মাত্র ১৬ টাকা। ঘষামাজা করে শূন্য উঠিয়ে ফেলা হয়েছে। এনিয়ে জাকির হোসেন আবারো প্রতিবাদ করলে দোকানদার চেয়ার তুলে তাকে মারধর করে।স্থানীয়রা জাকির হোসেনকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। ঘটনার পর দোকান বন্ধ করে দোকানদার পালিয়ে যায়।
জাকির হোসেন বলেন, ‘বোতলে মূল্য ১৬০ লেখায় ঘষামাজা করে শূন্য উঠিয়ে ফেলা হয়েছে। যাতে করে তিনি বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন। আর এর প্রতিবাদ করামাত্র তিনি আমাকে চেয়ার তুলে মারেন।’
ক্রেতাকে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে দোকানদার শফিউদ্দিন বলেন, ‘আমি ১৬৮ টাকা দিয়ে তেলের বোতল কিনে এনেছি। এখন উনি আমাকে গায়ের মূল্য (বোতলে লেখা ১৬০ টাকা) দিতে যাচ্ছিলেন। এনিয়ে তর্কবিতর্ক হলে আমি চেয়ার হাতে নিয়েছিলাম। তাতে উনার মাথায় আঘাত লেগেছে। আমার অন্যায় হয়ে গেছে।’
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।