
ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেছেন, শুধু শ্রেণী কক্ষের পাঠক্রমের মধ্যে নয়, খেলাধুলাসহ সর্বত্রই যেন শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত বিচরণ থাকে সেটি নিশ্চিত করা জরুরী। শিক্ষার্থীরা তাদের শিশুসুলভ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নানাভাবে খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত হবে সেটিই আমাদের লক্ষ্য। তিনি আরো বলেন, সরকারের শিক্ষা কাঠামোর একটি মৌলিক দর্শন হলো দক্ষতা ভিত্তিক শিক্ষা এবং সেটিই এখন আমাদের লক্ষ্য। দক্ষতা ভিত্তিক শিক্ষা প্রণয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তাই শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন সৃজনশিলতামূলক কাজেও অংশগ্রহণ করতে হবে। তিনি শনিবার (১৯ মার্চ) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ১৭তম শিশু মেধাবৃত্তি, শিশু মেলা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ড. মোঃ আখতারুজ্জামান আরো বলেন, যে মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে সাংসদ মোকতাদির চৌধুরী ও প্রফেসর ফাহিমা খাতুন চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছেন তার ফল আমরা পেতে শুরু করেছি। তাঁদের উদ্দেশ্যই হলো শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত থেকে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের অনুপ্রেরণা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তিনি সংসদ সদস্য মোকতাদির চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, একজন ব্যক্তি তখনই এমন মহৎ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে পারে যখন তিনি সহজতর প্রভৃতি গুণের অধিকারী হন।
চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনার্স কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (গ্রেড-১) ও শিশু মেধাবৃত্তি-শিশুমেলার সভাপতি প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান, শিশুমেলার মূখ্য সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মকবুল আহমেদ ও ইমাম প্রি ক্যাডেট স্কুল অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন।
আলোচনা সভা শেষে জেলার ৯টি উপজেলার ৬৪টি বিদ্যালয়ের ১৬৫ জন শিক্ষার্থীদের মেধাবৃৃত্তি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্ত ৪৮ জনকে ৩ হাজার টাকা করে, সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্ত ৯২ জনকে ২ হাজার ৫শ টাকা করে, উপজেলা কোটা বৃত্তিপ্রাপ্ত ২৪ জনকে ১৫শ’ টাকা করে মোট ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ডিসটিন্কশন এ্যাওয়ার্ড হিসেবে একজন শিক্ষার্থীকে ১ বছরের জন্য ১২ হাজার টাকা শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। পরে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক হাসিনা জাকারিয়া বেলাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
এদিকে শিশুমেলাকে কেন্দ্র করে চিনাইল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনার্স কলেজ ও চিনাইর আঞ্জুমান আরা স্কুল প্রাঙ্গনে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সেখানে শিশুদের জন্য শিশু একাডেমী-ইসলামিক ফাউন্ডেশন-পাক্ষিক মত ও পথ বইয়ের প্রদর্শনী, পিঠার স্টল এবং পুতুল নাচ, বানর খেলার ব্যবস্থা করা হয়।