
আখাউড়া।।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেছেন, পতাকা বৈঠক থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে পর্যন্ত সীমান্তে হত্যা বন্ধের বিষয়ে আমরা উভয়ে (বিজিবি-বিএসএফ) আলোচনা করি। এটি বন্ধে আমাদের উভয় পক্ষের সৌহার্দ্যপূর্ণ মনোভাবের কোনো কমতি নেই। আমরা উভয়পক্ষই চাই এটি শূণ্যতে নামিয়ে আনতে। সীমান্তে হত্যা বন্ধে আমরা উভয়পক্ষই আন্তরিক। আশা করি যেভাবে আমরা কাজ করছি, একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছি; এতে করে এ বিষয়ে অবশ্যই উন্নতি হবে। আজ বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আইসিপি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। বিজিবি প্রধানকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শূণ্যরেখায় বিএসএফের একটি দল স্বাগত জানান।
বিএসএফের বাধায় আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধের বিষয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক কিছু নিয়ম আছে। সেগুলো আমাদের মানতে হয়, তাদেরও মানতে হয়। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই এই নির্মাণ কাজটা আমরা করব। এ বিষয়ে আমাদের উচ্চ এবং মন্ত্রণালয় পর্যায়ে পত্রালাপ করা আছে। আমরা কাজ করছি যত দ্রুত সম্ভব এটা সমাধান করার জন্য।
বিএসএফ’র বাধায় আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ প্রসঙ্গে বিজিবি প্রধান বলেন, আন্তর্জাতিক কিছু নিয়ম কানুন আছে। এ নিয়ম কানুনগুলো উভয় দেশকেই মানতে হয়। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই আমরা ভবন নির্মাণের কাজটি করব। এ ব্যপারে আমাদের উচ্চ পর্যায়ে পত্রালাপ চলছে। আমরা কাজ করছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্যাটির সমধান করা হবে।
আখাউড়া সীমান্ত পরিদর্শন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দেশের সমস্ত সেক্টর, রিজিওন, ব্যাটালিয়ন, ক্যাম্প, বিওপি যেগুলো আছে সেগুলো আমি ভিজিট করছি। তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে জানছি। আখাউড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ আইসিপি। তাদের সুযোগ সুবিধা কি কি আছে, কোন অসুবিধা আছে কিনা সেগুলো জানব এবং দূর করার চেষ্টা করব। কাস্টম এবং ইমিগ্রেশন সহজ করার জন্য চেষ্টা করব। এ সময় বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।