
আখাউড়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে ভারেত আটক পাঁচ বাংলােদশী নাগরিক দেশে ফিরেছেন।তারা ভারেত পাচার হয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউড়া চেকপাস্ট দিয়ে আজ শুক্রবার দুপুরে (১ এপ্রিল) বাংলােদেশ প্রবেশ করেন।আগরতলার বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনারের মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।পরিবার ও সহকারী হাইকমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পাঁচজন বাংলােদিশ মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বিভিন্ন সমেয় আটক হন। এরপর আদালেতর নির্দেশে আগরতলার মডার্ন সাইকিয়াট্রিক হাসপাতাল চিকিৎসা দেওয়া হয়। সুস্থ হওয়ার পর তাদের নাগরিকত্ব যাচাই করা হয়। এরপর স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী যোগােযাগ করে তাদের দেশে ফেরার জন্য ভারত সরকারের অনাপত্তি সংগ্রহ করে আগরতলার সহকারী হাইকমিশন।দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সন্তোষ দেব, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপেজলার বিজয় চুন্নু, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপেজলার ময়না বেগম, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার রোজিনা বেগম এবং কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কুলসুম বেগম।আগরতলা-আখাউড়া স্থলবন্দরে তাদেরকে ভারত থেকে গ্রহণ করার সময় ত্রিপুরার বাংলােদেশর সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ, প্রথম সচিব আসাদুজ্জামান ও রেজাউল হক, আখাউড়া উপজেলাঢ নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম, ওসি ইমিগ্রেশন আবু বকর, বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কর্মসূচি প্রধান শরিফুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘদিন পর তাদের পেয়ে পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তরকালীন সময় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের পক্ষ থেকে ফেরত আসা সবাইকে জরুরী সহায়তা হিসেবে খাবার, কাউন্সিলিং সেবা ও নগদ ১০ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। উক্ত সহেযাগিতা তাদের হাতে তুলে দেন আখাউড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমাানা আক্তার এবংব্র্যাক মাইগ্রেশন কর্মসূচি প্রধান শরিফুল হাসান।