আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

এক ছাত্রী পড়া না পারায় সহপাঠী ছাত্রকে দিয়ে গালে চড় মারানোর অভিযোগ

জাতীয়, বাঞ্ছারামপুর 8 April 2022 ৩০৪

বাঞ্ছারামপুর।।

দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী শ্রেণিকক্ষে পড়া না পারায় সহপাঠী এক ছাত্রকে দিয়ে তার গালে চড় মারানোর অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।এ ঘটনাটি ঘটেছে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ডক্টর রওশন আলম কলেজে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম সাদেকুর রহমান।
এ ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।আজ শুক্রবার এ সংক্রান্ত এক চিঠি তদন্ত কমিটির সদস্যের কাছে পাঠায়।
কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক জানিয়েছেন, উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নে অবস্থিত ওই কলেজে গত ৪ এপ্রিল সকালে বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে ক্লাস নিতে যান শিক্ষক সাদেকুর রহমান। ক্লাসে একটি বিষয় নিয়ে আলোচনার পর এক ছাত্রীর কাছে এ–সংক্রান্ত একটি প্রশ্ন করেন তিনি। এ সময় ওই ছাত্রী ভুল উত্তর দেন। পড়া না পারায় শিক্ষক সাদেকুর ওই ছাত্রীকে নিজ হাতে নিজের গালে চড় মারতে বলেন। পরপর তিনবার বলার পরও নিজের গালে চড় না মারায় পাশে থাকা আরেক ছাত্রীকে ওই ছাত্রীর গালে চড় মারতে বলেন। কিন্তু পাশের ছাত্রীও চড় দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এরপর পাশে থাকা এক ছাত্রকে ওই ছাত্রীর গালে চড় দিতে বলেন শিক্ষক সাদেকুর রহমান। এ সময় ওই ছাত্রীর গালে চড় মারেন ছাত্রটি। ঘটনাটি জানাজানি হলে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ পরিচালনা পর্ষদের বিদ্যোৎসাহী সদস্য দেলোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘বিষয়টি জানার পরপরই আমরা কলেজে গিয়েছি। শিক্ষকদের এ বিষয়ে যা বলার বলেছি। ওই শিক্ষকসহ কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’
শিক্ষকের কথায় ছাত্রীর গালে চড় দেওয়া ছাত্রের বাবা বলেন, ‘বিষয়টি মিটমাট হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।’ ছেলের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘ওই ছাত্রী পড়া পারে নাই। এ জন্য শিক্ষক তার গালে চড় দিতে বলেছেন। আমার ছেলে ওর গালে আস্তে করে হাত দিয়েছে।’
অভিযুক্ত শিক্ষক সাদেকুর রহমান বলেন, ‘ছেলেটা নিজে থেকেই অতি উৎসাহী হয়ে ওই ছাত্রীর গালে আস্তে করে হাত দিয়েছে। ক্লাসে একটি মান নিয়ে আলোচনা করছিলাম। ওই ছাত্রী আগেও ভুল করেছিল। তার ভুল সংশোধন করে দিয়েছিলাম। এরপরও না পারায় তাকে নিজের গালে চড় মারতে বলেছিলাম। বারবার ভুল হওয়ায় ভেবেছিলাম, এটা করলে মনে থাকবে। আমার ইনটেনশন খারাপ ছিল না। ক্লাসে আমি মারার পক্ষে নই।’
এ বিষয়ে কলেজের পরিচালনা পর্ষদের বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও ফরদাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘কলেজ থেকে পাঠানো চিঠি পেয়েছি।
কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।