
ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দি পাড়ার রঘুনাথ জিউর মন্দিরে মহাবীরের পুজা চলাকালে চুরির সময় ছায়েদা বেগম সাথী (২৫) নামে এক নারীকে আটক করেছে সেখানে থাকা ভক্তরা। প্রথমে তিনি নিজেকে সাথী দেবনাথ নামে পরিচয় দেন এবং বাড়ী হবিগন্জ শহরে এবং সে কসমেটিক ব্যবসায়ী বলে দাবী করেন।কিন্তুু তার কাছে কসমেটিক বিক্রির কোন কিছুই পাওয়া যায়নি।পরে ওই নারীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ছায়েদা বেগম সাথী শাখা-সিঁদুর পরে মন্দিরে আসেন।
আটক ছায়েদা পুলিশকে জানিয়েছেন, তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল এলাকায়। স্বামীর নাম উসমান গণি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ রবিবার ছিল রঘুনাথ জিউর মন্দিরে মহাবীরের পুজা ও বাসন্তী মায়ের নবমী পূজা। পৌর এলাকার কান্দিপাড়ার রঘুনাথ জিউর মন্দিরে এ উপলক্ষে প্রচুর ভক্তের সমাগম ঘটে। আজ দুপুরে ছায়েদা বেগমসহ একটি সংঘবদ্ধ নারীচক্র মন্দিরে প্রবেশ করে শাখা সিঁদুর পরে। একাধিক নারীর কাছ থেকে তারা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে ধরা পড়েন ছায়েদা বেগম সাথী। তবে নিজেকে সাথী দেবনাথ বলে পরিচয় দেন এবং তার স্বামী রন্জন দাস বলেন। সো একেক সময় একেক নাম বলে পরিচয় দিতে থাকেন।তাকে আটক করার খবর তার স্বামী উসমানের কাছে গেলে উসমান তাকে ছারিয়ে নেওয়ার জন্য ৪০ হাজার টাকা পাঠাবে বলে মন্দিরে ভক্ত চেইন খোয়া যাওয়া লোকজনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলেন পরে এক পর্যায়ে উসমান একটি বিকাশ নাম্বার ৩৬ হাজার ৫ শত টাকা পাঠায়।পরে এলাকাবাসী ছায়েদা বেগম সাথী ও তারে ছেরে দেওয়ার জন্য পাঠানো টাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার এস আই ইব্রাহিম হোসেন এর হাতে তুলে দেয়।পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে তার পরিচয় নিশ্চিত করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, ওই নারীকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।