
নবীনগর।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামে এক বীরমুক্তিযোদ্ধার বসত ভিটা আদালতের রায় অমান্য করে জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ প্রতিবেশী প্রভাবশালী মহল রাজু মিয়া গংদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে চরম আতংকে দিন যাপন করছেন ওই বীরমুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যরা। সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা সাবেক সেনা সদস্য কর্পোরাল আবদুল কুদ্দুস লক্ষিপুর মৌজায় পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া পাঁচটি দাগে মোট ৫০.২৫ শতাংশ ভিটে বাড়ী রয়েছে। সেই জায়গাটি তিনি ভোগ দখলে প্রতিবেশীদের বিভিন্ন বাঁধার সম্মুখীন হলে বিগত ৮ বছর যাবৎ তিনি এই নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
সেখানে বিজ্ঞ আদালত গত মাসে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস এর পক্ষে পুরো জায়গাটি মাপ ঝোঁক করে সিমানা নির্ধারণ করে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ শে সেপ্টেম্বর সরেজমিনে গিয়ে এই সংক্রান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নবীনগরের নবীনগরের সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন।এ দিন তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুসকে তার মালিককৃত ভুমি নির্ধারণ সহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জায়গা বুঝিয়ে দিয়ে লাল নিশান উড়িয়ে দেন।অথচ এরপরই এসব সীমানা নির্ধারণ রেখা,লাল পতাকা সহ সমস্ত কিছু উপড়ে ফেলে দেয় তার প্রতিবেশী প্রভাবশালীরা।এই অবস্থায় চরম কষ্ট ও আতঙ্ক দিন যাপন করছে মুক্তিযুদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যরা। এ প্রসঙ্গে বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমি সেনাবাহিনীতে চাকরির করার কারণে বাড়ি না থাকায় আমার পৈত্রিক সম্পত্তি প্রতিবেশীরা জোর করে দখল করে রাখে, আমি যখন অবসরে আসি তখন তাদের সাথে গ্রামবাসী ও এলাকাবাসী নিয়ে মাপ ঝোঁক করে আমার জায়গা ফেরত পেতে অনেক চেষ্টা করি।
ওরা কাউকে তোয়াক্কা করে না।তাই আমি নিরুপায় হয়ে আদালতের আশ্রয় নেয়। বিজ্ঞ আদালত আমার জায়গা উদ্বার করে সিমানা নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে নির্দেশ প্রদান করলে এসিল্যান্ড এসে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। কিন্তু কিছুদিন পরই আমার প্রতিবেশী রাজু মিয়া গংরা সব কিছু ফেলে পুনরায় আবার জায়গা দখল করে নেয়।আমি অসহায় মানুষ।আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সহ বিজ্ঞ আদালতের সহায়তা কামনা করছি।আজ এখন পরিবার নিয়ে চরম আতংকে আছি,কখন ওরা আমাদের উপর হামলা চালায় ?এ প্রসঙ্গে সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন গত বছরের দিকে আমি দেওয়ানি আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামে পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস কে তার বেদখলকৃত জায়গা উচ্ছেদ সহ সিমানা নির্ধারণ করে দিয়ে এসেছি।তারপর ওখানে আর কি হয়েছে সেটা আমি জানি না।যদি বিবাদী পক্ষ আইন লঙ্ঘন করে পূনরায় জায়গা দখল করে নেয় তবে সেটা আদালত বিবেচনা করবে।