
ডেস্ক।।
আজ ০৫ মে নারী মুক্তিযোদ্ধা প্রথম বিপ্লবী শহীদ প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের শুভ জন্মদিনে বিনম্র চিত্তে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি বিপ্লবী নারী মুক্তিযোদ্ধাকে।
ডাকনাম রাণী, ছদ্মনাম ফুলতারা, একজন গর্বিত বাঙালি নারী ছিলেন, যিনি ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নারী মুক্তিযোদ্ধা ও প্রথম বিপ্লবী শহীদ ব্যক্তিত্ব। তৎকালীন পূর্ববঙ্গে জন্ম নেয়া এই বাঙালি মাস্টার দা বিপ্লবী সূর্য সেনের নেতৃত্বে তখনকার ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে সফলতা সাথে সশস্ত্র প্রতিরোধ ও ছদ্দবেশে অনেক কর্মকান্ড পরিচালনা করেন এবং জীবন বিসর্জন করেন। ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব দখলের সময় তিনি সহো ১৫ জনের একটি বিপ্লবী দল পরিচালনা করেন। এই ক্লাবটিতে একটি সাইনবোর্ড লাগানো ছিলো যাতে লেখা ছিলো “কুকুর এবং ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ”। প্রীতিলতার দলটি ক্লাবটি আক্রমণ করে এবং পরবর্তীতে পুলিশ তাদেরকে আটক করে। অন্তর্মুখী, লাজুক এবং চঞ্চল স্বভাবের প্রীতিলতা পুলিশের হাতে আটক হয়ে অমানবিক নির্যাতনের শিকার করে বিপ্লবী গোপন তথ্য যাতে নিতে না পারে এজন্য সায়ানাইড খেয়ে হাসি মুখে নিজে মৃত্যুবরণ করেন।প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ১৯১১ সালের ৫ই মে মঙ্গলবার চট্টগ্রামের বর্তমান পটিয়া উপজেলার ধলঘাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন মিউনিসিপ্যাল অফিসের হেড কেরানী জগদ্বন্ধু ওয়াদ্দেদার এবং মাতা প্রতিভাদেবী। তাদের ছয় সন্তানঃ মধুসূদন, প্রীতিলতা, কনকলতা, শান্তিলতা, আশালতা ও সন্তোষ। তাদের পরিবারের আদি পদবী ছিল দাশগুপ্ত। পরিবারের কোন এক পূর্বপুরুষ নবাবী আমলে “ওয়াহেদেদার” উপাধি পেয়েছিলেন, এই ওয়াহেদেদার থেকে ওয়াদ্দেদার বা ওয়াদ্দার। শৈশবে পিতার মৃত্যুর পর জগদ্বন্ধু ওয়াদ্দেদার তার পৈতৃক বাড়ি ডেঙ্গাপাড়া সপরিবারে ত্যাগ করেন। তিনি পটিয়া থানার ধলঘাট গ্রামে মামার বাড়িতে বড় হয়েছেন। এই বাড়িতেই প্রীতিলতার জন্ম হয়। আদর করে মা প্রতিভাদেবী তাকে “রাণী” ডাকতেন। পরবর্তীকালে চট্টগ্রাম শহরের আসকার খানের দীঘির দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়ে টিনের ছাউনি দেয়া মাটির একটা দোতলা বাড়িতে স্থায়ীভাবে থাকতেন ওয়াদ্দেদার পরিবার। কিন্তু দুঃখের ও পরিতাপের বিষয় প্রীতিলতার জন্মস্থানের ধ্বংসাবশেষ ভিটা বাড়ির কোনো চিহ্নই আর অবশিষ্ট নেই।