আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

বিজয়নগরে পুলিশের দেওয়া ঘর বুজে পায়নি আসহায় নেহারা।। ঘরেরে কাজ অসম্পন্ন

বিজয়নগর, সারাদেশ 9 May 2022 ১৮২

বিজয়নগর।।
ঘরেরে কাজ অসম্পন্ন। ঘর পাওয়া ব্যাক্তির কথা কর্ণপাত করেনি থানা পুলিশ।বিজয়নগর উপজেলার চর ইসলামপুর গ্রামের অসহায় নেহারা খাতুন পুলিশের দেওয়া ঘর পায়।বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে পাঁচ লক্ষ টাকা বরাদ্দকৃত এই ঘর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে দেশের প্রায় ৬১টি থানায় একজন অসহায়,প্রতিবন্ধী, বিধবা,গৃহহীনদের কে বাচাই করে ঘর দেওয়া হয়।কিন্তু দেশের সকল থানায় ঘর পাওয়া ব্যাক্তিরা ঘর বুজে পেয়ে বসবাস শুরু করলেও বিজয়নগর থানার চিত্র দেখা গেছে ভিন্ন। বিজয়নগরের চর ইসলামপুর গ্রামে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় পুলিশের দেওয়া ঘরের কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি।ঘরের কাজ অসম্পন্ন রেখেই উদ্বোধন করেন কিন্তুু নেহারা খাতুন এখনও ঘরে উঠতে পারেনি। ঘরের কাজে রয়েছে ব্যাপক ত্রুটি বিচ্যুতি। খুবই নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে ঘরের কাজ করা হয়েছে।এটি যে পাঁচ লক্ষ টাকা বরাদ্দের ঘর তা দেখে বুজা যায়না। সঠিক ডয়িং অনুযায়ী ঘরের কাজ সম্পন্ন করা হয়নি।এ কাজে রয়েছে বিজয়নগর থানা পুলিশের গাফিলতি।ঘরের জানালার গ্রীল দেওয়া হয়েছে কিন্তুু জানালা দেওয়া হয়নি, ঘরের ভিতরে পাটিশনের দরজা দেওয়া হয়নি,ফোরের কাজ করেছেন সাবেক একজন জনপ্রতিনিধি। বিদ্যুৎ সংযোগেরএর কোন ব্যাবস্হা করা হয়নি।ঘরের বাথরুম, রান্নাঘর থাকার কথা থাকলেও তা রাখা হয়নি।এ ঘরটির কাজ দেখবাল করার জন্য বিজয়নগর থানার ওসি দায়িত্বে থাকলেও তিনি একজন এ এস আইকে দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন। এদিকে জানা যায়,বিজয়নগরের চর ইসলামপুর ইউপি’র সাবেক এক জনপ্রতিনিধি কাছ থেকে নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ করে পুলিশের ঘর দেওয়য়ার। জায়গা নেয় বিজয়নগর থানার ওসি মির্জা মোঃ হাসান।ঐ জনপ্রতিনিধি তফসীরুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমাকে চাপ প্রয়োগ করে জায়গা নিয়েছে ওসি।আমি জায়গা দিতে রাজী না হওয়ায় আমাকে নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখায় থানার ওসি ও এস আই আব্দুর রশিদ, আমি তাদের ভয়ে জায়গা দলিল করে দিয়েছি কিন্তুু এই দলিল রেজিষ্টির টাকা ও আমাকে দিতে হয়েছে নিরুপায় হয়ে।
পুলিশের ঘর পাওয়া ব্যাক্তি রেহানা খাতুন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান,আমি এখনও ঘর বুঝে পায়নি তাই ঘরে উঠতে পারিনি,মানুষের বাড়িতই থাকতে হচ্ছে আমার।আমি ওসিকে বার বার ফোন করলেও ওসি কোন ধরনের ব্যাবস্হা করেনি আমার জন্য। এই ঘর পেয়ে কি লাভ হল আমার ঘর পাওয়ায় চেয়ে না পাওয়াই ভাল ছিল।
এঘর নিয়ে এলাকার কয়েকজন ব্যাক্তির সাথে কথা বললে তারা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা বলেন আমাদের নাম প্রকাশ করলে পুলিশ নানা ভাবে আমাদেরকে হয়রানী করবে। পুলিশের দেওয়া ঘরে অসহায় রেহানা এখনো উঠতে পারছেন কিন্তুু ঠিকই উদ্বোধন দেখিয়েছেন।আমরা জেলা পুলিশের উর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি এ ব্যাপারে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।এ ঘর তৈরীর সময় দু”একজন দারুগা ছারা আর কাউকে তদারকি করতে দেখিনি।