
ডেস্ক।।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে সেইদিন পাকিস্তানের গণপরিষদে পূর্ব পাকিস্তান থেকে নির্বাচিত একজন মুসলিম লীগের সংসদ সদস্যও সমর্থন করেনি বাংলার পক্ষে বলার জন্য।একজনও না, অথচ তারা বাঙালীর ভোটে নির্বাচিত ছিলেন। হাতে গোনা দুই একজন কংগ্রেসের সংসদ সদস্য যারা পূর্ব বাংলা থেকে নির্বাচিত হন তারা সমর্থন করেন শুধু। খাজা নাজিমউদ্দীন সরাসরি বিরোধিতা করে বলেন পূর্ব বাংলার লোকেরা উর্দু ভাষাই চায়। পাকিস্তানের লিয়াকত আলী খান বলেই বসেন আপনি দেশ ভাঙার ষড়যন্ত্র করছেন।মানুষের পাশে হ্যা হ্যা বলা সহজ, কিন্তু পূর্ব বাংলা থেকে নির্বাচিত সকল বাঙালীর মুসলিম লীগের এমপিদের বিরোধিতা সত্ত্বেও বাংলার পক্ষে বলা ছিলো এক বড় ব্যাপার।১৯৪৮ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সংসদে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাবের খবর পরের দিনের পত্রিকায়।তাঁকে ২৭শে মার্চের পর টেনে হিঁচড়ে হত্যা করে।তিনি তখন ৮০ বছরের ছিলেন, রাজনীতি করতেন না তবুও তার প্রতি কেন এত ঘৃণা? কেনই বা যুদ্ধ শুরুর পর তাঁকে মারতে হলো?কারণ পাকিস্তান সরকার,জামায়াতে ইসলামি, মুসলিম লীগ ও আরো সাম্প্রদায়িক দল সমূহের পেয়ারা পাকিস্তানের প্রতি প্রথম আঘাতটা তিনিই হানেন ৪৮ এ, সেই সময় এর প্রতিশোধ নিতে পারেনি তারা, সেটা ২৩ বছর পর পূরণ করে। তাই বৃদ্ধ বয়সেও করুণা হয়নি তাদের।