আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

বঙ্গবন্ধু ও ৭ই মার্চ

জাতীয়, রাজনীতি 7 March 2023 ৬৬

ডেস্ক।।

“একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি জাতি সৃষ্টি করেছেন। একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে তিনি এক মোহনায় দাঁড় করিয়েছিলেন। এ ভাষণ নিয়ে যারা দলীয় অহমিকায় ভুগেন তারা ভুলে যান এটি পাকিস্তানের কাছে ছিলো জ্বালাময়ী ভাষণ!” আজকে শুধুমাত্র দলীয়করণই ৭ই মার্চের মতো মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রাম ভিত্তিক অনেক দিবসকে যথাযথ মূল্যায়ন করতে দিচ্ছে না।”আমরা বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে স্মরণ করি। আমরা বিশ্বাস করি সাতই মার্চের ভাষণ আওয়ামী লীগের ভাষণ নয়, এটি জাতির মুক্তির সনদ ছিলো।”কিন্তু দলীয় দৃষ্টিকোন বিবেচনায় প্রবল রাজনৈতিক মতবিরোধের কারণেই সাতই মার্চের মতো জাতীয় দিবসগুলোতে সব দল এক হতে পারছেনা।
, “আজকের সংবাদপত্রগুলো দেখুন। মত পথ নির্বিশেষে সব পত্রিকাই এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে। এ থেকেই বোঝা যায় এ নিয়ে জাতির মধ্যে আর কোন দ্বিধাবিভক্তি নেই। তবে জাতি হিসেবে আমরা তর্ক পছন্দ করি। সেজন্য কোন কোন সিদ্ধান্ত নিতে পিছিয়ে পড়ি। আবার রাজনৈতিক কারণও রয়েছে।” কিন্তু এই যে রাজনৈতিক বিভক্তি, যার ফলে সাতই মার্চের মতো দিবসগুলো সার্বজনীনতা থেকে বঞ্চিত হয় এর দায় আসলে কার? “মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি ঠিকই কিন্তু পাকিস্তানি ভাবধারা এখনো রয়ে গেছে। প্রতিপক্ষের দিক থেকে যেমন একটা চেষ্টা আবার যারা খুব ঘটা করে দিবসটি পালন করে তাদের ব্যর্থতা এবং এটাকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহারের চেষ্টার কারণেই বস্তুনিষ্ঠভাবে তাপৎর্য অনুধাবনের কাজ করা হচ্ছে না”।৭ই মার্চ একটি ধারাবাহিক আন্দোলন এর চুড়ান্তরুপ এটাকে অস্বীকার করলে ২রা মার্চ ও ৩রা মার্চকে স্বীকার না করলে পতাকা,মানচিত্র, জাতীয় সঙ্গীত, এগুলি কিভাবে এলো? যারা ৭ই মার্চকে একটি দলীয় আবরনে আটকে রাখতে চান।বঙ্গবন্ধুকে দলীয় সম্পদ বানাতে চান আর তাই অন্য সবকিছুকেই অস্বীকৃতি জানানোর মানসিকতায় ভুগেন।।একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সব উপাদান লাগে আর সেগুলির সমন্বয় করেই বাঙ্গালী জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল।।যাদের কারনে বঙ্গবন্ধু একদিন তার পেটি বুর্জোয়া মানসিকতা থেকে বের হতে পারেন নাই।সেদিনও তাকে সমগ্র জাতির নেতা থেকে কৌশলে একটি দলের নেতায় পরিনত করেছিল আবার তিনি যখন নিজেকে শোষিত জনতার নেতা হতে চেষ্টা করেছিলেন তখন তারাই বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাকে হত্যা করেছিল।।এভাবেই বঙ্গবন্ধু ও তার সমগ্র অর্জনকে একটি দলীয় কুক্ষিগত করার প্রচেষ্টাই সবকিছুকে ম্লান করে দিচ্ছে।।তবে সংকট আর বিতর্কের দিন কাটিয়ে ৭ই মার্চ যেমন বিশ্বস্বীকৃতি পেয়েছে, তেমনি স্বাধীনতা অর্জনের পথে গুরুত্বপূর্ণ অন্য দিবস বা ঘটনাগুলোও সামনের দিনগুলোতে জাতীয় জীবনে বিশেষ করে তরুণদের কাছে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।।