আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

নাসিরনগরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনার মামলার ১৩ জনকে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত

আন্তর্জাতিক, জাতীয়, নাছিরনগর, বিশেষ প্রতিবেদন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, সারাদেশ 16 March 2023 ৭২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় দায়ের হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের একটি মামলায় ১৩ জনকে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ এ রায় ঘোষণা করেন। নাসিরনগর উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়া এলাকার পুরাতন দুর্গামন্দিরে অগ্নিসংযোগের মামলার এ রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা করে জারিমানা করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আটটি মামলায় একটিতে প্রথমবারের মতো রায় ঘোষণা করা হলো।জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) দিদারুল আলম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া দু’পক্ষের আইনজীবীরাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মো. মোখলেছ মিয়া, মো. মফিজুল হক, খসরু মিয়া, নাজির রহমান, মো. মাফুজ মিয়া, ইদু মিয়া, শেখ মো. আব্দুল আহাদ, সায়হাম রাব্বি শ্যাম, মীর কাশেম, আনিস মিয়া ও তাবারক রেজা, সজিব চৌধুরী এবং দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি। এর মধ্যে আতিকুর রহমান হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। দণ্ডপ্রাপ্তদের সবার বাড়ি নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। এদের মধ্যে পাঁচজন পলাতক রয়েছেন। বাকিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
পুরাতন দুর্গামন্দিরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে করা মামলাটির বাদী নাসিরনগর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাধন কান্তি চৌধুরী। দীর্ঘ তদন্তের পর ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত ও নাসিরনগর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের বাসিন্দা রসরাজ দাসের ফেসবুক আইডি থেকে ধর্মকে অবমাননা করে একটি পোস্ট দেয়ার অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলা সদরের হিন্দু অধ্যুষিত কয়েকটি এলাকায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসব ঘটনায় নাসিরনগর থানায় আটটি মামলা দায়ের করা হয়। রায়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান মামুন বলেন, ‘যে কোনো মামলায় সাজা দিতে গেলে নূন্যতম সাক্ষ্য-প্রমাণ প্রযোজন। কিন্তু সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়াই এ মামলায় ১৩ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।’ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. নাজমুল হোসেন বলেন, ‘সাক্ষ্য-প্রমাণ বিচার বিশ্লেষণ করেই রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। এটি অনুকরণীয় রায়। এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।