সিলেট কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা যায়, সিলেটে কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত ও সিলেটর উজান ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এ অঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলা এলাকার ফসলি জমি বেশি পানিতে তলিয়ে যায়। এছাড়াও সিলেটের অন্যান্য উপজেলার ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। সিলেটে মোট ১ লাখ ৮হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ফসল আবাদ করা হয়। এর মধ্যে ২৮ হাজার ২৮০ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। বন্যার পানি নেমে আসার পর ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়। জেলায় ২১ হাজার হেক্টর ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়।
মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর, বড়লেখা, জুড়ি ও কুলাউড়া উপজেলা এলাকার ফসলি জমি বেশি পানিতে তলিয়ে যায়। মৌলভীবাজারে মোট ৮৮ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ফসল আবাদ করা হয়। ১ হাজার ৩৭ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত ছিল। এ জেলায় ১ হাজার ২০০ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়।
হবিগঞ্জ জেলার নবিগঞ্জ, সদর, মাধবপুর, লাখাই, বানিয়াচং ও আজমিরিগঞ্জ উপজেলা এলাকার ফসলি জমি বেশি পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও জেলার অন্যান্য উপজেলার ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। হবিগঞ্জে মোট ৫৩ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ফসল আবাদ করা হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ৭০ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত ছিল। জেলায় ৪ হাজার হেক্টর ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়।
সুনামগঞ্জ জেলার সবকটি উপজেলা এলাকার কম বেশি ফসলি জমি বেশি পানিতে তলিয়ে গেছে। সুনামগঞ্জে মোট ৪০ হাজার ১৭৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ফসল আবাদ করা হয়। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৫১৫ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত ছিল। এ জেলায় ১৩ হাজার হেক্টর ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার কৃষক আব্দুস সামাদ জানান, এবার ৮ কেয়ার জমিতে ধান লাগিয়েছিলাম সকল জমি পানির নিচে। ২/১ দিনের মধ্যে পানি না নামায় সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে সিলেট কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক ড. মো মামুনুর রশিদ বলেন, বন্যার পানিতে নিমজ্জিত সব ফসল ক্ষতির আওতায় আসবে না। পানি নামার পর ক্ষতির পরিমান নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের প্রচুর পরিমান ধানের চারা আছে। ক্ষতিগ্রস্থ জমিতে নতুন করে চারা লাগানোর জন্য দেওয়া হবে।
