আমাদের কথা ডেস্ক :
মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের হাতে দ্রুত পাসপোর্ট পৌঁছে দিতে জহুর বারুতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। নির্ধারিত সময়ে সকল প্রবাসীদের হাতে এম আরপি পৌছে দিতে ১৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার জহুরে মোবাইল ক্যাম্পিং এর উদ্ভোধন করবেন মান্যবর হাই কমিশনার মো: শহিদুল ইসলাম। এ নিয়ে হাইকমিশন সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আবেদনের জন্য আগতদের কাউকে ফেরত না পাঠিয়ে একদিনের মধ্যেই জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট, ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ছবি তোলার কাজ সম্পন্ন করার ব্যবস্তা করা হয়েছে। জহুর প্রদেশের বাংলাদেশি কমিউনিটি অব জহুর মালয়েশিয়ার নেতৃবৃন্দ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জহুর বারু বাংলাদেশ কমিউনিটির সভাপতি মো: তরিকুল ইসলাম রবিন জানান, দূতাবাসের অনুমতি ক্রমে এক সপ্তাহ ধরে জহুর প্রদেশের কতাতিঙ্গী, তিরাম, মাসাই,পন্তিয়ান,তামান ইউ, গেলাংপাতাহ, পাসির গুডাং, স্কুডাই,বান্ডার জহুরবারু,বাতু পাহাত সহ জহুর প্রদেশে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। যাতে করে কেউ বাদ না পরে সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ। দূতাবাসের ফার্ষ্ট সেক্রেটারি এম এস কে শাহীন জানান, মোবাইল ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে শুধু জহুর বারু নয় মালয়েশিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা সকল প্রবাসীদের হাতে এম আরপি পৌছে দিতে এ উদ্যোগ নেয় হয়েছে এবং এক মাসের মধ্যে তা গ্রাহকের হাতে দেওয়ার চেষ্টা করছে হাই কমিশন। আগামী ২৪ নভেম্বর শেষ হচ্ছে হাতে লেখা পাসপোর্টের কার্যকারিতা। এরপর থেকে কেউ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ছাড়া বিদেশে যেতে কিংবা অবস্থান করতে পারবেন না। মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) এখনও হাতে পাননি কয়েক লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি। এমন পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ে এম আরপি পাসপোর্ট প্রদানে মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস মোবাইল ক্যাম্পিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছে।
এদিকে, এমআরপি হাতে না পেলে চাকরি হারানোর ঝুঁকিসহ আইনি ঝামেলায় পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে প্রবাসীদের। এ নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তারা। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে প্রথম মোবাইল ইউনিটটি জহুর বারু থেকে কার্যক্রম শুরু করবে। এতে প্রতিদিন কমপক্ষে দুই হাজার এমআরপি পাসপোর্টের কাজ করা যাবে। সংশিশ্লষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে জনবল ও মেশিনারিজ সময়মত পেলে সক্ষমতার ভিত্তিতে সর্বোচ্চ লক্ষ্য অর্জনের জন্য তারা চেষ্টা করবেন বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান পরিবহন সংস্থার (আইকাও) নিয়ম অনুযায়ী চলতি বছরের ২৪ নভেম্বরের পর থেকে হাতে লেখা পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে ভ্রমণ কিংবা অবস্থান করা যাবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে এমআরপি বিতরণ করা সম্ভব না হওয়ায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আইকাওয়ের কাছে হাতে লেখা পাসপোর্টের মেয়াদ ২০১৮ সালের ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন করা হলেও তা নাকচ করেছে সংস্থাটি। আবেদন নাকচ করে আইকাও জানায়, এ বিষয়ে তাদের কিছু করার নেই।