নেকাব পরার অপরাধে জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের চার ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের করে দিয়েছে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এক শিক্ষিকা। গত মঙ্গলবার প্রাণিবিদ্যা বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত রোববার প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২য় বর্ষের চারজন ছাত্রী নেকাব পরে ক্লাসে আসলে ওই বিভাগের প্রভাষক সামিয়া ফারহানা সুমা তাদেরকে নেকাব পরার অপরাধে ক্লাস থেকে বের করে দেন। পরবর্তীতে তার ক্লাসে নেকাব পরে আসতে নিষেধ করেন। পরবর্তীতে গত মঙ্গলবার তারা নেকাব পরে ওই শিক্ষিকার ক্লাস করতে আসে।
ওই শিক্ষিকা ক্লাসে প্রবেশ করেই তাদেরকে নির্লজ্জ, বেয়াদব, বেহায়া বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বলে তোমাদের জন্য ক্লাসের শৃক্সখলা নষ্ট হচ্ছে। নিষেধ করা সত্বেও কেন তোমরা এই পোশাকে আবার এসেছো। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভিসি বরাবর একটি অভিযোগ পত্র প্রেরণ করার জন্য বিভাগীয় সভাপতির কাছে দিয়েছেন। অভিযোগ পত্রে তারা বলেন, আমরা মুসলিম পরিবারের মেয়ে। ছোট বেলা থেকে পারিবারিকভাবে আমরা নেবাকসহ পর্দা করে আসছি। নেকাব পরার জন্য আমরা এখন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন ধরণের বাধার সম্মুখীন হইনি এবং বিশ^বিদ্যালয়ের এখন পর্যন্ত আমরা স্বাধীনভাবে নেকাব পড়ে পর্দা রক্ষা করে আসছি। কিন্তু দূ:খজনক হল সামিয়া ফারহানা ম্যাম আমাদের দুই দিন নেকাব খুলতে বাধ্য করেন। তার চাপে আমরা দুই দিন নেকাব খুলে ক্লাশ করতে বাধ্য হয়েছি। এ ঘটনায় আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
এ বিষয়ে ঐ শিক্ষিকা সামিয়া ফারহান সুমা বলেন, তাদের এক্সপ্রেসন বুঝতে সমস্যা হওয়ার কারণে আমি তাদের বলেছি ক্লাসের ভিতরে নেকাব খুলে রাখতে। কিন্তু তারা সব সময় আমার কথা ডিনাই করে আসছে। শিক্ষার্থীদের গালিগালাজের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। এছাড়া বিভাগের নাম না প্রকাশ করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী জানান, তিনি সব সময় বিভাগের বিভিন্ন ব্যচের শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ করেছেন। ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়নি। এ বিষয়ে বিভাগে সভাপতি অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, বিভাগে না যাওয়ার কারণে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।
Copyright © 2023 Amaderkatha | Design & Developed By: Design Ghor