
নয়াদিল্লী:: কোনওভাবেই তাঁর সমালোচনা করা যাচ্ছে না৷ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের তালিকায় থাকা অন্যতম মুখ্যমন্ত্রী তিনি৷ জীবন যাপনে অতি সাধারণ৷ সরকারি প্রকল্প রূপায়ণে সফলতা পাচ্ছেন, তা স্বীকার করেছে এনডিএ সরকারও৷ এমনই বাম তথা সিপিএম শাসিত রাজ্যের দখল নিতে কোন বার্তা দিতে চলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ সেটাি লক্ষনীয়৷
শনিবার থেকে দু’দিনের সফরে ত্রিপুরা আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি৷ সঙ্গে থাকছেন রাম মাধব, রাহুল সিনহা সহ একাধিক নেতৃত্ব৷
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, যে রাজপথ লাল পতাকায় মুড়ে থাকে৷ সেই পথেই শোভা পাচ্ছে পদ্ম চিহ্নের তেরঙা পতাকা৷ রাজধানী আগরতলার সর্বত্র কাট আউট ও ফ্লেক্স৷ তাতে হাসি হাসি মুখে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি৷
বাম দুর্গ ত্রিপুরায় বিজেপির আচমকা রমরমা ছবি দেখা যাচ্ছে৷ পশ্চিমবঙ্গের সফর শেষ করেছেন৷ আসন্ন নির্বাচনগুলিতে বিজেপিকে সর্বশক্তি নিয়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিপক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন৷ পশ্চিমবঙ্গে বাম শক্তি তথা সিপিএম ক্ষয়িষ্ণু হলেও ত্রিপুরার লড়াই যে কঠিন তা বুঝছেন ভাজপা নেতৃত্ব৷
গত নির্বাচনে ত্রিপুরা বিধানসভার ৬০টি আসনের মধ্যে ৫০টি দখল করেছে বামফ্রন্ট৷ বাকি দশটি বিরোধীরা অর্থাৎ কংগ্রেস৷ সেই কংগ্রেস প্রায় সাইনবোর্ড৷ দল ভেঙে তৃণমূলে গিয়েছেন তাবড় তাবড় কং নেতৃত্ব৷ সেখান থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পালা চলছে৷ ফলে রাজ্যে নতুন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিজেপির উত্থানকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন বাম নেতৃত্ব৷
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর জানিয়েছেন, বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক দল রাজ্যের মাটিতে দাঁত ফোটাতে পারবেনা৷ কিন্তু অমিত শাহের দু’দিনের সফর ঘিরে দলীয় কর্মীদের উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে৷