নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ রাজধানীর বনানীতে ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন ঝালকাঠির (রাজাপুর) আওয়ামী লীগের এমপি বজলুল হক হারুন। তিনি ও তার ছেলে হোটেলটির পরিচালক।
বজলুল হক হারুন আমাদের কথা’কে জানান, ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য হোটেলের প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক করা হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হারুন রোববার দুপুরে বলেন, দ্য রেইন ট্রি হোটেলের পরিচালকদের মধ্যে অপর একজন হলো আমার ছেলে। সব ধরনের নিয়মনীতি মেনেই হোটেলটি পরিচালনা করা হয়। কিন্তু এরপরও একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। হোটেলের কেউ জড়িত থাকলেও তাদের শাস্তি দেয়া হবে। আমরা দেশবাসীর মতো এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি।
ধর্ষিতা দুই তরুণীর প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে তিনি বলেন, ওরা আমার মেয়ের মতো। ওদের কাছে আমার দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছু করার নেই। ওরা যেন সঠিক বিচার পায় এটাই কাম্য।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভাই, এখানে আমার অপরাধ কী? আমাকে এখানে কেন জড়াতে চাচ্ছেন। আমি তো নিজেও এর বিচার চাই। আর হোটেল পরিচালনা করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আমি তো সেখানে সবসময় উপস্থিত থাকি না। একটা ব্যবসা করতে চেয়েছিলাম। দেশি-বিদেশিদের সেবা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এমন একটি ঘটনা সবাইকে বিব্রত করেছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি এ নিয়ে চিন্তিত।
গত ২৮ মার্চ বনানীর অভিজাত ওই হোটেলে ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন দুই তরুণী। এ ঘটনায় ৪০ দিন পর গত ৬ মে সন্ধ্যায় বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন ভিকটিমরা। কিন্তু প্রথমে মামলা নিতে গড়িমসি করে পুলিশ। পরে বাধ্য হয়ে মামলা নেয়।
ঘটনার শিকার দুই তরুণীর অভিযোগ, থানায় মামলা করতে গেলেও তাদের হয়রানির শিকার হতে হয়।
সাফাত ছাড়া মামলার অপর চার আসামি হলেন তার বন্ধু সাদনান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও তার দেহরক্ষী আজাদ।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার পর সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে সিলেট মহানগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত অন্যদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।