আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

কী হবে এই ৬ বোনের? কে করবে বিয়ে?

বিশেষ প্রতিবেদন 1 June 2017

একটি পরিবারে ৬টি সন্তান। আর এ ৬জনই হচ্ছে মেয়ে। তাদেরও স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া করে বাবা-মায়ের ছেলে সন্তানের অভাব দূর করার। কয়েক বছর আগে হারায় বাবাকে। তিনদিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় মাও। মাথার উপর থেকে যেনো শেষ ছায়াটুকু সরে যায়। এখন কী হবে অভিভাবকহীন এই ৬ বোনের?

গত রোববার সন্ধ্যায় ট্রাকচাপা পড়ে পার্বতীপুরের ফ্যাক্টরি পাড়া মোড়ে ওই বিধবা মা আরজিনা বেগম (৪৫) নিহত হন। পার্বতীপুর থেকে দিনাজপুরগামী একটি ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ সময় তিনি তার একটি গাভী নিয়ে ওই পথে বাড়ি ফিরছিলেন।
নিহত আরজিনা মন্মথপুর ইউনিয়নের ছোট হরিপুর মুন্সীপাড়া গ্রামের মৃত মোফাখখারুল ইসলামের স্ত্রী।

প্রতিবেশীরা জানায়, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল স্ত্রী ও ৬ কিশোরী কন্যাকে রেখে মারা যান পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি মোফাখখারুল ইসলাম। তার মৃতুর পর লেখাপড়া ছেড়ে সংসারের হাল ধরতে বাধ্য হন বড় দুই মেয়ে মুক্তা ও রিক্তা। তারা দুজনেই কাজ নেন ঢাকার দুই গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে।

বর্তমানে মুক্তা (২৪), রিক্তা (২২) ও মোমিনা (১৮) তিনজনেই বিবাহযোগ্যা। এছাড়া ছোট বোন লিপি (১৩) ৮ম, মমতাজ ( ১৫) নবম শ্রেণি ও মুসরাত জাহান ইতি ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ছে। ৩ জনেই মেধাবী ছাত্রী।

প্রতিবেশী মেনহাজুল হক বলেন, পরিবারটির ৫ শতক বসত ভিটা ছাড়া তাদের আর কোনো আবাদি জমি নেই। মায়ের মৃত্যুর পর ছোট ৪ বোনকে বাড়িতে রেখে বড় দুই বোন আবার চাকরিস্থলে ফিরে যাবে, নাকি চাকরি ছেড়ে বোনদের সাথে বাড়িতে থাকবে এ নিয়ে উভয় সঙ্কটে পড়েছে বড় দুই বোন মুক্তা ও রিক্তা।

মুক্তা ও রিক্তা কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, বাবা মার ইচ্ছা ছিল ৬ বোনকে শিক্ষিত করার। কিন্তু দারিদ্রতার কারণে তারা দু’বোন সংসারের হাল ধরেছিল। এখন অবিভাবকহীন হয়ে তারা কীভাবে বোনদের পড়ালেখা ও সংসার চালাবে তা ভেবে পাচ্ছে না।

অন্যরা যা পড়ছেন…

রাজশাহী বোর্ডের ৪৭০ শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন
ডেস্ক রিপোর্ট : রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে রাজশাহী বোর্ডের মোট ৪৭০ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। এর হার মোট আবেদনের এক দশমিক ২৩ শতাংশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বোর্ড থেকে সংশোধিত এই ফল প্রকাশ করা হয়। বোর্ডের নিজস্ব ওয়েব সাইটে ফলফল পাওয়া যাচ্ছে। উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণে রাজশাহী বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছে ৪৬ জন। আর অন্য জিপিএ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬২ জন। এছাড়া অন্যান্য ফল পরিবর্তন হয়েছে ৩৬২ জনের। এরা বিভিন্ন গ্রেড পয়েন্ট অর্জন করে খাতা পুনঃনিরীক্ষণে জিপিএ পরিবর্তন করেছে।
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তরুণ কুমার সরকার জানান, এসএসসির ফল প্রকাশ হয় ৪ মে। পরদিন ৫ মে থেকে ১১ মে রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়। উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণে মোট আবেদন করেছিল ৩৮ হাজার ২ জন শিক্ষার্থী।
তরুণ কুমার বলেন, আবেদনকারীর তুলনায় ফলাফল বদলে যাওয়ার ঘটনা খুবই কম। দক্ষ শিক্ষক দিয়ে খাতা পুনঃনিরীক্ষণে সূক্ষ্ম থেকে অতিসূক্ষ্ম ত্রুটিতে নম্বর পরিবর্তন হয়েছে। গভীরভাবে খাতা মূল্যায়নে এই সূক্ষ্ম পরিবর্তন এসেছে।তিনি বলেন, পরিবর্তিত ফলাফলের সংখ্যা আরও কীভাবে কমিয়ে নিয়ে আসা যায় সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হবে। ফলাফলের এমন পরিবর্তন যেন না আসে সে ব্যাপারে পরীক্ষকদের খাতা মূল্যায়নে আরও যতœবান হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।এবারের এসএসসি ও সমমানের ফলাফলে দেশের সাধারণ ৮ শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে পাসে হারের দিক থেকে এবার দেশসেরা হয় ‘রাজশাহী’। এই শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ৭০ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ হাজার ৩৪৯