আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

কাতার বিতর্ক : কাতারের কাছে আরব দেশগুলো কঠোর দাবির তালিকা পাঠিয়েছে

আন্তর্জাতিক 25 June 2017

চারটি আরব দেশ কাতারের কাছে তাদের ১৩টি দাবির একটি তালিকা পাঠিয়ে বলেছে এগুলো না মানলে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা যাবে না।

সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব আমীরাত এবং বাহারাইন কাতারের কাছে দাবি জানিয়েছে তাদের আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করতে হবে।

তারা কাতারের কাছে আরও দাবি জানিয়েছে ইরানের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ সীমিত করতে হবে এবং তুরস্কে তাদের সেনা ঘাঁটি বন্ধ করতে হবে।

এসব দাবি পূরণের জন্য দশদিন সময় দেওয়া হয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কাতার তাদের ভাবমূর্তি উন্নত করার প্রয়াস নিয়েছে এবং বলেছে তারা সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন করছে না এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির তারা বিপক্ষে।

কাতারের ওপর নজিরবিহীন কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে দুই সপ্তাহের ওপর। কয়েক দশকের মধ্যে উপসাগরীয় দেশগুলোতে এটা সবচেয়ে বড়ধরনের রাজনৈতিক সঙ্কট।

কাতারের দিক থেকে এই দাবির ব্যাপারে কোন প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায় নি, তবে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি এর আগে বলেছিলেন শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তারা কোন বিষয়ে আলোচনা করবেন না।

তার দেশের বিরুদ্ধে “কোনধরনের সন্ত্রাসী সংগঠনকে সমর্থন করার” কথা তিনি অস্বীকার করেছেন।

আল জাজিরাকে কেন লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে?

আরব দেশগুলো তাদের লিখিত দাবিতে জানিয়েছে আল জাজিরা এবং তাদের সংশ্লিষ্ট সব সম্প্রচার ব্যবস্থা বন্ধ করতে হবে। টেলিভিশন সংস্থাটির একটি ইংরেজি ভাষার শাখা রয়েছে এবং আরবী উপগ্রহ চ্যানেলগুলোর মধ্যে এই চ্যানেলটির দর্শকই সর্বাধিক।

উপসাগরীয় দেশগুলো এবং সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ দেশ মিশর অনেকদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে সংস্থাটি ইসলামপন্থী আন্দোলনকারীদের এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের মতামত এই চ্যানেলে তুলে ধরার ব্যাপারে তাদের উৎসাহ জুগিয়ে আসছে। তবে আল জাজিরা এই দাবি অস্বীকার করেছে।

খেতাব পাওয়া এই চ্যানেলের একজন শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিক ও মুখপাত্র জামাল আল শায়াল বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসকে বলেছেন: ”যেসব দেশ এই উগ্রপন্থী সংগঠনগুলোর সৃষ্টি অথবা তাদের অর্থ সহায়তার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তাদের দিক থেকে এধরনের অভিযোগ উদ্ভট।”

”আমাদের নেটওয়ার্ক এমন কোন গর্হিত কাজ করেছে যার ফলে এধরনের হাস্যকর অভিযোগ যে তোলা যেতে পারে এমন কোনো প্রমাণ কেউ দেখাতে পারে নি।”

তিনি বলেন সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বজায় রেখে তাদের কর্মীরা কাজ করে যাবেন এবং ”ক্ষমতাবানদের সত্যের মুখোমুখি” করার কাজ অব্যাবহত রাখবে।