আমাদের কথা নিউজ ডেস্ক : ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনের প্রত্যন্ত অঞ্চল ভাতনগরে ‘কানজারভাত’ সম্প্রদায়ে কুমারীত্বের পরীক্ষা দিয়ে বিয়ে করতে হয়। তবে কয়েকশ বছরের পুরনো এই রীতি ভেঙে কুমারীত্বের পরীক্ষার অবসান ঘটানোর জন্য অনেকেই চষ্টো করছেন। তরুণীদের পাশে এসে সেই আন্দোলনে যোগ দিচ্ছে তরুণরাও।
জানা গেছে, সাদা কাপড় পরিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে হয় বর ও কনেকে। পরে কোনো ঘরে সেই দম্পতিকে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করেন বিয়েবাড়ির লোকজন।
ঘর থেকে বেরিয়ে নববধূ যদি দেখাতে পারেন, তার কাপড়ে রক্তের দাগ; সেক্ষত্রে তাকে বরণ করে নেন সবাই। অন্যথায় ওই বধূর দুর্দশার শেষ থাকে না।
এছাড়া বিয়ের পরদিন সম্প্রদায়ের জ্যেষ্ঠ লোকজন বরকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। বরের কাছে তারা জানতে চান, তার বউ খাঁটি ছিল কিনা? বরের উত্তরের ওপর নির্ভর করে বধূর ভাগ্য।
তবে ওই সম্প্রদায়ের তরুণরা নারী অধিকারের ব্যাপারে সোচ্চার হয়ে উঠছে। প্রিয়াঙ্কা তামাইচিকার নামে এক নারী বলেন, প্রতিবাদ করাটাকে পরিবর্তনের শুরু বলে মনে করছি। আমি মনে করি, আমার সম্প্রদায়ে শুধু আমিই একমাত্র তরুণী, যে মনে করে এই পরীক্ষা সঠিক নয়।
তিনি আরো বলেন, আমি একজন নববধূকে মারপিট করতে দেখেছি। আমি দেখেছি, নারীরা তাদের রক্তাক্ত কাপড় দেখার জন্য ঘরে ঢুকছেন। আমার এই জীবনে আমি মনে করি, একদিন আমরা মুক্তি পাবো এবং তাদের দেখিয়ে দেবো যে তারা ভুল। একদিন আমি এমন কিছু করবোই।
[gs-fb-comments]Copyright © 2023 Amaderkatha | Design & Developed By: Design Ghor