ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেছেন, রোববার বাংলাদেশের একজন দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থীদের সঙ্গে টেলিকনফারেন্সে কথা বলেছেন। এটি নির্বাচনী আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সুপ্রিম কোর্টের যে নির্দেশনা আছে- তারেক রহমানের বক্তব্য কোনো প্রচারমাধ্যমে প্রচার করা যাবে না। সুতরাং তারেকের এই কাজ সর্বোচ্চ আদালতের আদেশের লঙ্ঘন এবং আদালত অবমাননার সামিল।
রোববার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের কাছে এ-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দাখিল করার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ফারুক খান বলেন, গত দুইদিন ধরে আমরা লক্ষ্য করছি নির্বাচন-সংক্রান্ত যে আচরণবিধি সেটি লঙ্ঘিত হচ্ছে। বিশেষ করে আজ। এর ফলে নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। এ জন্য আমাদের লিখিত অভিযোগ কমিশনের কাছে তুলে ধরেছি। আশা করি তারা এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, গতকাল শনিবার ঐক্যফ্রন্টের নামে বিএনপি-জামায়াত সুপ্রিম কোর্টের মতো একটি জায়গায় বসে সারাদিন নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছে। সেখানে এমন কিছু কথাবার্তা বলা হয়েছে- যা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এই লঙ্ঘনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। এসব যদি অব্যাহত থাকে তাহলে ভবিষ্যতে নির্বাচন আরও প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দলটির নির্বাচন পরিচালনার উপ-কমিটির সদস্য সচিব মোহিবুল আলম চৌধুরী নওফেল বলেন, তিনি (তারেক রহমান) টেলিকনফারেন্সে সুনির্দিষ্টভাবে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। এটা গণমাধ্যমে এসেছে। তিনি এ মুহূর্তে একজন পলাতক ও দণ্ডিত ব্যক্তি। তিনি রাজনৈতিক ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন না। যেহেতু উচ্চ আদালতের সুনির্দিষ্ট আদেশ আছে তাকে ঘিরে কোনো ধরনের লাইভ স্ট্রিমিং, ব্রডকাস্টিং, কনফারেন্স ইত্যাদি দেখানো যাবে না। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তিনি আদালতের নির্দেশনা, প্রচলিত আইন ভঙ্গ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি নির্বাচনী আইনও লঙ্ঘন করেছেন। বিএনপি যে কাজটি করেছে একজন দণ্ডিত আসামির মাধ্যমে সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুধুমাত্র অবৈধই নয়, অনৈতিকও বটে।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে যে- সুনির্দিষ্টভাবে আমাদের আদালত যে নির্দেশনা দিয়েছেন এই পলাতক ব্যক্তির বিষয়ে প্রচার না করার জন্য- এ বিষয়টা যেন আপনার মেনে চলেন।
নির্বাচনের সময় হাসিনা : অ্যা ডটার’স টেল সিনেমা মুক্তির বিষয়টি নির্বাচনী আইন ভঙ্গ কি না- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে ফারুক খান বলেন, এটি বিনোদনমূলক। মানুষ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে এটি দেখছে। এখানে কোনো নির্বাচনী প্রচারণার বিষয় নেই।
প্রসঙ্গত পুনঃনির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর এবং ভোটের দিন ৩০ ডিসেম্বর।
[gs-fb-comments]Copyright © 2023 Amaderkatha | Design & Developed By: Design Ghor