
নিজস্ব প্রতিবেদক//
রাজধানীর গেন্ডারিয়া এলাকায় মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের সময় ২২ মামলার আসামি ইমন (ইমু) নিহত হয়েছেন। সোমবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। এদিন সন্ধ্যায় এক বার্তায় এ তথ্য জানায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ।
ডিএমপি জানায়, নিহতের নাম ইমন ওরফে ইমু ওরফে সুলতান ওরফে ইয়াছিন ওরফে জানু ওরফে জানে আলম ওরফে সুমন ওরফে শুটার ইমু (৩৫)। তার বাড়ি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ থানার মহিষার গ্রামে।
ডিবির বরাত দিয়ে ডিএমপি জানায়, ডিবি পূর্ব বিভাগের কাছে গোপন তথ্য ছিল, গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা মাঠে ‘অজ্ঞাতনামা’ সন্ত্রাসী অস্ত্র-গুলিসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য অবস্থান করছে। রোববার দিবাগত রাতে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে ডিবি গেন্ডারিয়ার ডিস্টিলারি রোড ধূপখোলা মাঠ চটপটি গেটের ভেতর যায়। এ সময় পুলিশের অবস্থান বুঝতে পেরে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে সন্ত্রাসীদের লক্ষ করে গুলি ছুড়ে। উভয়ের গোলাগুলির একপর্যায়ে এক সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ সন্ত্রাসীকে পুলিশ দ্রুত ঢাকা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় অন্যান্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল হতে একটি বিদেশি রিভলবার যার ম্যাগাজিনের ভেতরে ৫ রাউন্ড গুলি লোডেড অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নিহতে বিষয়ে ডিএমপি জানায়, ইমন মহানগর এলাকায় নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ২২টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।