আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

লিপি হত্যার সুবিচার ও স্বামীর ফাঁসির দাবীতে নাসিরনগরে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া 19 February 2019 ৪০৮

লিপি হত্যার সুবিচার ও স্বামীর ফাঁসির দাবীতে নাসিরনগরে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাক্ষণবাড়িয়াঃ ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ রোজ শুক্রবারে স্বামী গলা টিপে স্ত্রীকে হত্যা করে স্পীটবোর্ড যোগে লাশ শ্বশুরালয়ে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবারে স্ত্রী লিপির মৃত্যু হলেও লাশ দুইদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পড়ে থাকার পর রবিবারে নির্বাহী ম্যাজেষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হযেছে লাশের ময়নাতদন্ত। দেড়িতে ময়না তদন্তের কারণ সম্পর্কে নিহতের বড় ভাই চন্দন কুমার দেব জানায়, জামাই রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ময়না তদন্তের রির্পোট তাদের পক্ষে নিতে চেয়েছিল।কিন্ত তা পারেনি, মিডিয়া কর্মীদের চাপের মুখে পড়ে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাইদা খানমের উপস্থিতিতে ডা: নুর-ই শামে নেতৃত্বে ৩ সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে নিহত লিপি রানী দেবের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আজ ১৯ফেব্রুয়ারী রোজ মঙ্গলবার বেলা ২ ঘটিকার সময় নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে রাস্তার দুই পাশে উপজেলার হাজারো নারী পুরুষ মিলে লিপির হত্যার সুবিচার ও ঘাতক স্বামীর ফাঁসির দাবীতে মানব বন্ধন শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। মানববন্ধনে শতফুর্তভাবে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজারো নারী পুরুষ ঘাতক স্বামীর ফাঁসির দাবীতে অংশ নেয়। এ সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন লিপির মা মঞ্জু রানী দেব। মানববন্ধনে লিপির বড়ভাই চন্দন কুমার দেব অভিযোগ করে বলেন, আমার ছোট ভাই চপল দেব বাদী হয়ে লিপি হত্যার বিচার চেয়ে লিপির স্বামী মানিক কুমার দেবসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার এজাহার নিয়ে অষ্টগ্রাম থানায় গেলে এজাহার গ্রহণ করেনি অষ্টগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ।এ বিষয়ে অষ্টগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্ঠা করলে তিনি একাধিকবার ফোন কেটে দিয়ে অবশেষে বন্ধ করে দেয়। চন্দন জানান, তার বোন জামাই মানিক দেব একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। সে অস্ত্র আইনে মামলার আসামী। মানিক দেব তার বড় ছেলে মুগ্ধকে রাগের বর্শীভূত হয়ে বুকে পারা দিয়ে ধরে গুরুতর আহত করে। মুগ্ধ আহত হওয়ার ১০/১২ দিনে পর ঢাকা আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ বিষয়ে মানিক দেবের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার স্ত্রী কিছুটা ভারসাম্যহীন ছিল। যা আমার শ্বশুরবাড়ীর লোকজনও জানতেন। আমি একজন জনপ্রতিনিধি ও নির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান। আবারও নির্বাচনের জন্য আমি রাতদিন গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। এরই মাঝে আমার স্ত্রী বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাৎক্ষনিক তাকে অষ্টগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে ওয়াশ করে চিকিৎসা শেষে সুস্থ্য হওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য শ্বশুর বাড়ীতে পাঠাই। পরবর্তীতে অষ্টগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) এসএম সুমনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমরা মামলা নিতে চাইনি কথাটি মিথ্যা। আমরা বলেছি যেহেতু লিপি বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে,সেহেতু হত্যা মামলা না দিয়ে এজাহার পরিবর্তন করে আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা দেওয়ার জন্য। আসামী পক্ষের দাবী লিপি আত্মহত্যা করেছে। অপরদিকে বাদী পক্ষের দাবী লিপিকে হত্যা করা হয়েছে। এই অবস্থায় মেডিকেল রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত হত্যা না আত্মহত্যা কিভাবে বুঝা সম্ভব জানতে চাইলে তিনি বলেন ঠিক কথা বলেছেন।