
চট্টগ্রামের চট্টেশ্বরী কালীমন্দিরটি আনুমানিক ৫শত বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি চট্টগ্রাম নগর তথা সমগ্র বাংলাদেশের ৪টি প্রাচীন মন্দিরের মধ্যে অন্যতম। এই মন্দিরের পরিচিতির জন্য প্রাচীনকাল থেকে মন্দিরের সম্মুখের রাস্তাটি কাজির দেউড়ী মোড় থেকে মন্দিরের সম্মুখভাগ দিয়ে জেমস্ ফিনলে হয়ে চকবাজার গুলজার পর্যন্ত চট্টেশ্বরী রোড হিসেবে চিহ্নিত ছিল- যা ব্রিটিশ আমল থেকেই সরকারি রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত আছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাতে হচ্ছে যে, সম্প্রতি এই প্রাচীন মন্দিরের ঐতিহ্য ও স্মৃতি বিলুপ্ত করার লক্ষ্যে রাস্তাটির নাম ফলক পরিবর্তন করে ‘জে আই মাদ্রাসা’ সড়ক হিসেবে নূতন নামকরণ করা হয়েছে। তাছাড়া চট্টেশ্বরী রোড ও মেহেদীবাগের সংযোগ স্থলে জহুর-মান্নান চত্বর নামে একটি ফলক তৈরী করে বসানো হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আগত দর্শনার্থী ও ভক্তবৃন্দ মন্দির কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করছে যে, চট্টেশ্বরী রাস্তার নামকরণের ফলক নেই কেনো?
গুগল মেপে নির্দেশনা আন্তর্জাতিকভাবে সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য। কিন্তু নাম পরিবর্তনের ফলে কর্তৃপক্ষের সাম্প্রদায়িক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এসব অনৈতিক কর্মকা- দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার একটি জঘন্য কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার এই অপকৌশল চট্টগ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বী ও সচেতন নাগরিকদের মাঝে প্রচ- ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে যা পরবর্তীতে ভয়াবহ আন্দোলনের রূপ ধারণ করতে পারে। এই প্রেক্ষিতে মাননীয় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবর বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, চট্টগ্রাম-এর পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা এবং চট্টেশ্বরী রাস্তার নাম ও চট্টেশ্বরী চত্বর পুনঃস্থাপন করার দাবী জানানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, চট্টগ্রাম মহানগরের সম্মানিত সহ-সভাপতি সুজিত সরকার, সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাস, চকবাজার শাখার সম্মানিত আহ্বায়ক বিপ্লব বর্ধন, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট, চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি সুমন পাল, প্রচার সম্পাদক সুমন চৌধুরী, সদস্য সজীব দাশ, টিটু দাশ, অজয় দাশ প্রমুখ।