
বিচারিক আদালতে খালাস পাওয়া রাজউকের সাবেক ইস্যু ক্লার্ক ও বর্তমানে একই প্রতিষ্ঠানের স্টেট সেকশনের স্টেনো ক্লার্ক মো. শফিউল্লাহকে বহুতল ভবনের নকশা ও নথি গায়েব করার ঘটনায় ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের করা আপিলের শুনানি নিয়ে রোববার এ রায় দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফখরুল ইসলাম। এর আগে ২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর এ মামলায় শফিউল্লাহকে খালাস দিয়েছিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭। ওই রায়ের বিরুদ্ধে গত বছরের ৭ এপ্রিল হাইকোর্টে আপিল করে দুদক। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, রাজউকের বহুতল ভবনের নকশা অনুমোদন সংক্রান্ত ৫৭টি নথি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে রেকর্ড রুমে না পাঠিয়ে সেগুলো বিনষ্ট ও গায়েব করার অভিযোগে ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর রাজধানীর মতিঝিল থানায় শফিউল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে তাকে খালাস দিয়েছিল বিচারিক আদালত। তিনি জানান, হাইকোর্টের রায়ে শফিউল্লাহকে দণ্ডবিধির দুটি ধারায় দুই বছর করে চার বছর ও দুদক আইনের ৫(২) ধারায় আরও সাত বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে তাকে মোট সাত বছর কারাগারে থাকতে হবে।