কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতুর প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ মো. নুরুজ্জামান বিষয়টি ডেইলি বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ‘২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি শীতলক্ষ্যা নদীতে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। পাঁচটি পিলারের ওপর নির্মিত সেতুটি স্টিলের গার্ডারের ওপর কংক্রিটের ঢালাইয়ের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। একশ’ বছর স্থায়িত্বকাল ধরে জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওবায়শি করপোরেশন, শিমিজু করপোরেশন, জেএফআই ও আইএইচআই মিলে সেতুটি নির্মাণ করেছে। এতে ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা। ব্যয়ের ৭৫ ভাগ অর্থ জোগান দিয়েছে জাপানি উন্নয়ন সংস্থা জাইকা আর ২৫ ভাগ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। চার লেনবিশিষ্ট কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতুর দৈর্ঘ্য ৩৯৭ দশমিক ৫ মিটার ও প্রস্থ ১৮ দশমিক ৩ মিটার।’
এদিকে সেতু বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, নতুন সেতুটি চালু হওয়ার পর সংস্কার কাজের জন্য পুরনো সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে। এ সংস্কার কাজ শেষ হতে প্রায় এক বছর লাগবে।
প্রসঙ্গত, দেশের পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ১৯৭৮ সালে কাঁচপুর সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় দুই লেনের সেতুটিতে প্রায়ই যানজট দেখা দেয়। দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুটি চার লেনের হওয়ায় উদ্বোধনের পর যানজট আর থাকবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
[gs-fb-comments]Copyright © 2023 Amaderkatha | Design & Developed By: Design Ghor