আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

মাগুরায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক নৌকার কর্মীকে হত্যার চেষ্টা

সারাদেশ 28 March 2019 ২৬১

মাগুরা প্রতিনিধি।।

মাগুরা জেলার শ্রীপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রাথীর কর্মী হওয়ার অপরাধে শাজাহান মিয়া নামের এক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বাহিনীর নির্মম নিয়ৃাতনের শিকার হয়েছে ব্যক্তির সঙ্গে মির্জা মিজানুর রহমানের এইচএসসি পরীার্থী পুত্র মির্জা নাঈমুজ্জামান হৃদয় (১৮)। তিনি মাগুরার বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফ ডিগ্রী কলেজের শিার্থী। আগামী মাসের ১ তারিখ থেকে অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীার্থী। সোমবার দুপুরে শ্রীপুর থানার নাকোল বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর শ্রীপুর থানায় শাজাহান মিয়াসহ ৮ জনকে আসামি করে মামলা (নং-৭) দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে মূল আসামি মিন্টু শিকদারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। হৃদয়ের বাবা মির্জা মিজানুর রহমান বলেন, শাজাহানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার শত্রুতা ও মনোমালিন্য চলছিল, গত ২৪ তারিখের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি ও আমার আত্মীয় স্বজন নৌকার প্রার্থী পংকজ সাহাকে সমর্থন দেই এবং নৌকা মার্কার পে মাঠে নামি। অপর দিকে শাহজাহান চেয়ারম্যান বিএনপিমনা সতন্ত্র প্রার্থী শাহিনকে সমর্থন করেন এবং তার পে কাজ করেন। ভোটের দিন তারা নাকোল কেন্দ্র দখল করে আনারস প্রতীকের পে কেন্দ্র দখল করতে চাইলে আমরা বাধা দেই। তখনই তারা প্রতিশোধ নেবার হুমকি দেয় এবং পরদিন আমার পুত্র মির্জা নাঈমুজ্জামান হৃদয়কে পথ থেকে জোর করেধরে ব্যাপক মারপিট ও জখম করে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘‘হৃদয় প্রাইভেট পড়ে নাকোল বাজারে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে যাচ্ছিল। পথে ওঁৎ পেতে থাকা শাজাহান মিয়ার সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র ও রড় দিয়ে আমার ছেলের ওপর আক্রমণ করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মাগুরা নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলে পরে ডাক্তারদের পরামর্শে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মাথায় একাধিক সেলাই দিতে হয়েছে। সে এখনো আশংকামুক্ত নয়।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন শ্রীপুর উপজেলা নৌকার প্রার্থী পংকজ কুমার সাহা। তিনি বলেন ,আমার কর্মীদের ওপর এ ধরনের নগ্ন হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। তিনি বিষয়টি মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে অবহিত করেছেন বলে জানান। নৌকার কর্মীদের ওপর হামলা করে কেউ রেহাই পাবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে নাকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়নুর রশিদ মুহিত বলেন, এলাকায় তুচ্ছ ঘটনা ও শত্রুতার জের ধরে এইচএসসি পরীার্থীকে বেদম পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। এর জন্য আমি লজ্জিত। এ নিয়ে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে শত্রুতার জের ধরে মিজানের ছেলেকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। মামলার পরিপ্রেেিত আমরা ইতিমধ্যেই ঘটনায় জড়িত মন্টু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছি। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় শাহজাহান মিয়ার বক্তব্য জানতে তাকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি। এমনকি এসএমএসের জবাবও দেননি।