
ঢাকা।।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি জনাব আ স ম আবদুর রব বলেছেন, স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা সিরাজুল আলম খান, আবদুর রাজ্জাক ও কাজী আরেফকে নিয়ে স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস গঠন করেছিলেন। এ নিউক্লিয়াসের প্রচেষ্টায় ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯ এর ১১ দফার ভিত্তিতে ছাত্র-গণ আন্দোলন, ৭০ এর নির্বাচন সহ সকল আন্দোলনকে স্বাধীনতা অভিমুখে পরিচালিত করার প্রয়াস চালিয়েছেন। ১ লা মার্চ স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন, ২ রা মার্চ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন, ৩ রা মার্চ পল্টন ময়দানে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠও হয়েছিল নিউক্লিয়াসের পরিকল্পনা মাফিক। এই সকল কর্মসূচী ৭ ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ঘোষণার পটভুমি তৈরী করেছিল। রব আরো বলেনস্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা সিরাজুল আলম খান তথা নিউক্লিয়াসের নির্দেশে আমরা অনেক কিছুই শেখ মুজিব সাহেবকে জানাতাম না। ২ মার্চ পতাকা উত্তলন, ৩ মার্চ ইসতেহার পাঠ এই গুলী কিছুই বঙ্গবন্ধু জানতেন না। তিনি আরো বলেন ৬২ সাল থেকে স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত সংগ্রামের নেত্রীত্ব দেন সিরাজুল আলম খান।
৭ই মার্চের ভাষণে এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম-এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম- এ দিক নির্দেশনা অন্তর্ভূক্ত করনে নিউক্লিয়াস, বিএলএফ অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছে। এ ভাষণ তৈরীতে নিউক্লিয়াস, বিএলএফ ছাড়াও ৫ সদস্য বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ হাই কমান্ডের অবদান ছিল। যারা স্বাধীনতার মুল ধারার সাথে জড়িত ছিলেননা তারা ১লা মার্চ ছাত্র লীগের মিছিলে যারা বীর বাঙ্গালী অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন করো এ শ্লোগান দিয়েছিলো তাদের উপর বাঁশের লাঠি তৈরী কর-অতি বিপ্লবীদের খতম করো (এ কথার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতাকামীদেরই বুঝানো হয়েছিল) শ্লোগান দিয়ে হামলা করেছিল। এ হামলাকারীরা সহ যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেনি, ভারতে গেলেও বিলাসবহুল জীবন যাপন করেন তাদেরই মুখপাত্র হিসাবে মুক্তিযুদ্ধের ফসল আত্মসাৎকারী ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ষড়যন্ত্রকারী মহল বঙ্গবন্ধুকে দিয়ে ৭ই মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়াতে চেয়েছিল। তাহলে বঙ্গবন্ধু কি স্বাধীনতা চান নি? আর স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ানোর ষড়যন্ত্রকারী কারা? তাদের নাম প্রকাশ করা উচিৎ। এধরনের কথার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। তারা ক্ষমতায় থেকে আজ মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশে হত্যা-ধর্ষণ, লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। শাসকদের এ চরিত্র থেকেই বুঝা যায় তারা কেন ৭১ এর স্বাধীনতাকামীদের ষড়যন্ত্রকারী বলে বিরোধীতাকারীদের ক্ষমতার ভাগিদার করা সহ রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভূষিত করছে। বাংলার জনগণ এ অবস্থা বেশী দিন মেনে নেবেনা। অবিলম্বেই এদেশের ছাত্র-যুবক, বিভিন্ন শ্রম-কর্ম-পেশার মানুষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভিত্তিক স্বাধীন দেশের উপযোগী রাজনীতি ও রাষ্ট্র প্রশাসন গড়ে তোলার জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলবে। আজ বিকেল ৪ টায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যদানকালে আ স ম রব এ সকল কথা বলেন।
দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, মোঃ সিরাজ মিয়া, মিসেস তানিয়া রব, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, মোশারফ হোসেন, আবদুর রাজ্জাক রাজা, এস এম রানা চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল তারেক, এ্যাড.সৈয়দা ফাতেমা হেনা, নুরুল আবছার, হাজী আখতার হোসেন ভুইয়া, আবুল মোবারক, তৌফিক উজ জামান পীরাচা প্রমুখ।