
ঢাকা।।
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থধাপের ভোটের প্রচার শেষ শুক্রবার (২৯ মার্চ) মধ্যরাত ১২টায়। এ সময়ের পর আর কোনো প্রচার না চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে নির্বাচনী প্রচার বন্ধ করতে হয়। ভোটগ্রহণ শুরু হবে ৩১ মার্চ (রোববার) সকাল ৮টায়। সে অনুযায়ী, প্রচার বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
চতুর্থধাপে ১২২ উপজেলায় ভোটগ্রহণের তফসিল দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এগুলোর মধ্যে খুলনার ডুমুরিয়া, ফেনীর ছাগলনাইয়া, ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও কুমিল্লার বড়ুরার নির্বাচন আদালতের আদেশে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া এই ধাপে যুক্ত হয়েছে তৃতীয়ধাপের পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও নোয়াখালীর কবিরহাটের নির্বাচন। এছাড়া ১৫ উপজেলার সব পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। তাই চতুর্থ ধাপে ভোটগ্রহণ হবে ১০৪টি উপজেলায়।
এ ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৩৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৭ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৫১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৩৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন।
৩১ মার্চ ভোটগ্রহণ হবে ৯ হাজার ৭৪০টি ভোটকেন্দ্রে। ২২ জেলার মোট ২ কোটি ৫৫ লাখ ৪০ হাজার ৭০৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।
ভোটের দিন নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে শুক্রবার মধ্যরাত ১২টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার জন্য মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসি। আর নির্বাচনী এলাকায় অন্য যন্ত্রচালিত যানবাহন বন্ধ থাকবে ৩০ মার্চ মধ্যরাত ১২টা থেকে ৩১ মার্চ মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত।
নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও শুক্রবার থেকেই মাঠে অবস্থান নিয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসারসহ সব মিলিয়ে প্রায় দুই লাখ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে এমন ৫০টিরও বেশি উপজেলায় র্যাব ও বিজিবি অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পাঁচধাপে সম্পন্ন করছে ইসি। ১৮ জুন পঞ্চম ও শেষধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।