বাঞ্ছারামপুর থানার মামলা নং-১১, তারিখ- ২১/০৪/১৯ খ্রিঃ,ধারা-১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৫৪/ ৫০৬/১১৪ পেনাল কোড মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী ০১। আবুল বাসার(৩৮) ০২। দেলোয়ার হোসেন প্রকাশ ধন মিয়া (৫০) ০৩। মনির হোসেন মেম্বার(৫৫),সর্ব পিতা- সাহেব আলী, সর্ব মাতা- হাজী অজিফা খাতুন, সাং-রুপসদী(কান্দাপাড়া), থানা-বাঞ্ছারামপুর, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়াদেরকে প্রয়োজনীয় পুলিশ স্কটের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দপূর্বক এই মর্মে প্রতিবেদন পেশ করিতেছি যে, উল্লেখিত আসামীদেরকে ২৬/০৪/২০১৯খ্রিঃ রাত ০১.৩০ ঘটিকায় ঢাকা সানারপাড় এলাকা হইতে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখিত আসামীগণ মামলার এজাহারনামীয় যথাক্রমে ১,২,৩ নং আসামী হয়।। মামলা তদন্তকালে জানা যায় যে, উল্লেখিত গ্রেপ্তারকৃত আসামীগন ও মামলার এজাহারে বর্নিত তাহাদের দলীয় অপরাপর আসামীরা মামলার এজাহারে বর্নিত ঘটনার তারিখ ও সময়ে আসামীদের হাতে থাকা দা চেনী,শাবল,লোহার রড,টেটা,লাঠিসোটা ইত্যাদিতে সজ্জিত হইয়া বাদীর বাড়িতে অন্যায় প্রবেশ পূর্বক বাদীসহ তাহার ছেলে বিপ্লব ও স্বামী কালা মিয়া’কে হত্যা করার উদ্দেশ্যে পিটাইয়া ও কোপাইয়া এবং টেটাবিদ্ধ করিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। মামলার ভিকটিম কালা মিয়া প্রান রক্ষার্থে ঘটনাস্থল বাড়ি থেকে দৌড়াইয়া পাশ্ববর্তী মালন মিয়ার বাড়িতে বাথরুমে আত্মগোপন করিলে উল্লেখিত আসামীগন ও এজাহারনামীয় অপরাপর আসামীরাসহ তাহাকে পিছু ধাওয়া করিয়া উক্ত মালন মিয়ার বাড়িতে প্রবেশপূর্বক বাথরুমের দরজা কোপাইয়া, পিটাইয়া ও ভাঙ্গিয়া ভিকটিম কালা মিয়াকে মারধর করতঃ টানা হেচড়া করিয়া বাহির করিয়া বাথরুমের সামনে খালি জায়গায় উক্ত আসামীরা ও অপরাপর আসামীরা ভিকটিম কালা মিয়াকে এলোপাতাড়িভাবে কোপাইয়া, টেটাবিদ্ধ করিয়া এবং তাহার ডান পায়ের হাটুর নীচের অংশ কোপাইয়া আলাদা করিয়া উক্ত আলাদা অংশ আসামীরা নিয়া অজ্ঞাত স্থানে গোপন করিয়া ফেলে। ভিকটিম কালা মিয়ার অবস্থা আশংকাজনক। সে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। আসামীগন কর্তৃক ভিকটিম কালা মিয়ার কর্তনকৃত পা এখনও উদ্বার করা যায় নাই। আসামীরা মামলার ঘটনার বিষয়ে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার বিষয়ে মামলা তদন্তকালে আসামীদের বিরুদ্বে প্রাপ্ত তথ্যাদির ভিত্তিতে তাহাদেরকে মামলা সংক্রান্তে গ্রেপ্তার করা হয়।উক্ত আসামীগন ও তাহাদের দলীয় এজাহারনামীয় অপরাপর আসামীরা এলাকায় উগ্র স্বভাবের, লাঠিয়াল শ্রেনীর দাঙ্গাবাজ লোক হয় বলিয়া তদন্তে জানা যায়। আসামীরা জামিনে মুক্তি লাভ করিলে মামলার বাদী ও সাক্ষীদের জান-মালের আরো ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে বলিয়া তদন্তকালে প্রতীযমান হইতেছে। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলার তদন্ত ও বিচার কার্য় শেষ না হওয়া পর্য়ন্ত উল্লেখিত আসামীদেরকে জেল হাজতে আটক রাখার আবেদন করিতেছি। উক্ত আসামীদেরকে পুলিশ রিমান্ডে আনিয়া বিশদভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিলে মামলার ভিকটিম কালা মিয়ার কর্তনকৃত পা উদ্ধার করাসহ পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারকল্পে তাহাদের অবস্থান নির্নয় ও অজ্ঞাতনামা আসামীদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ পূর্বক গ্রেফতার করা যাইবে বিধায় বর্নিত আসামীদেরকে বিশদভাবে জিজ্ঞাসাবাদের নিমিত্তে ০৭ (সাত) দিনের পুলিশ রিমান্ডে আবেদন করা হইয়াছে। সূত্রে বর্নিত মামলাটি তদন্তাধীন আছে।( প্রেসবিঞ্জপ্তি)