আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

নবীনগরে দাড়িয়ে আছে ১৪ কোটি টাকার সেতু কিন্তু কাজে আসছে না এলাকাবাসীর

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া 21 May 2019 ৩৭৪

নবীনগর।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরের কৃষ্ণনগর ও বড়াইল ইউনিয়নে পাগলা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি শুধুমাত্র সংযোগ সড়কের অভাবে দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ওই অঞ্চলের মানুষের বহু বছরের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮০ মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণের দেড় বছর পার হলেও সেটি ব্যবহার হচ্ছে না। সেতু থাকলেও এখনো মানুষকে পাগলা নদী পাড়ি দিতে খেয়ার (নৌকা) ওপরই ভরসা করতে হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর কৃষ্ণনগর পার থেকে জনপ্রতি ১০ টাকা দিয়ে নৌকায় করে ওপারে যাচ্ছেন লোকজন। পরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে জেলা সদরে যাচ্ছেন তারা। কৃষ্ণনগরের পাগলা নদীর দুই পাড়ের স্থানীয় বাসিন্দা এবং ওই পথ দিয়ে চলাচলরতরা জানান, নবীনগরের উত্তরাঞ্চলের কৃষ্ণনগর, বড়াইল ও বীরগাঁও ইউনিয়ন এবং পাশের সদর উপজেলার অর্ধশত গ্রামের হাজার হাজার মানুষ একটি সড়ক ও একটি সেতুর অভাবে বছরের পর বছর মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাচ্ছিল।

তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার কৃষ্ণনগর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোকর্ণঘাট পর্যন্ত পাকা সড়ক (পিচঢালা) ও সেতু নির্মাণ করে। অথচ শুধুমাত্র সেতুর দুই পাড়ের সংযোগ সড়কের অভাবে ওই সেতুতে জনচলাচল শুরু হয়নি। এতে এলাকাবাসী এখনো দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, সরকারের আরটিআইপি-২ প্রকল্পের অধীনে সেতুটি বাস্তবায়ন করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। সেতুটি নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছিল ‘হাসান এন্টারপ্রাইজ’।

সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, পাগলা নদীর ওপর ১৮০ মিটার দীর্ঘ ওই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে। এতে ব্যয় হয় প্রায় ১৪ কোটি টাকা। সেতুটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৭ সালের মে মাসে। পরে ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত সময় বাড়ানো হলেও তার আগেই কাজ সমাপ্ত হয় এবং পরে সেটি চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া হয়। কিন্তু সেতুটির সংযোগ সড়ক না হওয়ায় সেটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, সেতুটির দুই পাড়ে জায়গা নিয়ে জটিলতা ছিল। সেটা দূর হয়েছে। দ্রুত এর কাজ শেষ করা হবে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল বলেন, দ্রুতই প্রকল্প বাস্তবায়নে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে বিষয়টির সুন্দর সমাধান বের করা হবে।