
ডেস্ক।।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে জানা-অজানা কয়েকটি সুন্দর তথ্য!
১) ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় রেল স্টেশনে স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা পালন করেন তরুণ নরেন্দ্র মোদী। ১৯৬৭ সালে বন্যাত্রাণের কাজে সামিল হন তিনি।
২) প্রধানমন্ত্রীর কোনও রকম মাদকের নেশা নেই। তিনি ধূমপান করেন না। মদ্যপানেও আসক্তি নেই। তিনি নিরামিষ ভোজী।
৩) নমো-র ফ্যাশন চেতনা বহুচর্চিত। তবে অনেকেই জানেন না, একমাত্র আমেদাবাদের বস্ত্র প্রস্তুতকার ‘জেড ব্লু’-এর তৈরি কাপড়ই তিনি ব্যবহার করেন।
৪) সকলেই জানেন, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি মোদীর অনুরাগ। আসলে জন্মস্থান ভাদনগরে এই দুই ধর্মের প্রাদুর্ভাব। তাই জন্মাবধি এই দুই ধর্ম সম্পর্কে তিনি জ্ঞানার্জন করেছেন এবং কালক্রমে আকৃষ্ট হয়েছেন।
৫) প্রতি বছর জন্মদিনে মা হীরাবেনের আশীর্বাদ না হলে নরেন্দ্রর চলে না। মা ছাড়াও ৪ ভাই ও ১ বোন রয়েছে তাঁর। রয়েছেন দীর্ঘ স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা স্ত্রী যশোদাবেন।
৬) রাজনীতি ছাড়া আরও কয়েকটি শখ রয়েছে নমো-র। অবসর সময়ে কবিতা লেখা, ফোটোগ্রাফি এবং সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে থাকতে তিনি পছন্দ করেন।
৭) যুবা বয়সে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ার ইচ্ছা তার ছিল না। নরেন্দ্রর বরং ধ্যান-জ্ঞান ছিল সন্ন্যাসীর জীবন যাপন করা। সেই উদ্দেশে রামকৃষ্ণ মিশনে তাঁর যাতায়াত শুরু হয়। কিন্তু ৩ বার চেষ্টা করা সত্ত্বেও মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়নি। সন্ন্যাস নয়, দেশ সেবায় জীবন উত্সর্গ করার উপদেশ দেন স্বামী আত্মস্থানন্দ।
৮) একাধিক সাক্ষাত্কারে মোদী জানিয়েছেন, দিনে ৫ ঘণ্টার থেকেও কম সময় ঘুমান।
৯) প্রথম বার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর মা হীরাবেন ছেলেকে উপদেশ দিয়েছিলেন, ‘বাবা, কখনও ঘুষ নিস না।’
১০) অত্যন্ত দরিদ্র অবস্থায় শৈশব কাটে নমো-র। রোজগারের জন্য তার মা গৃহস্থবাড়িতে বাসন মাজার কাজ নিয়েছিলেন। তিনি নিজে চায়ের দোকানে কাজ করতেন l বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে ফোটোগ্রাফার ভাড়া করার আর্থিক সঙ্গতিও তাদের ছিল না।
২০১৯ সালেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবারো নির্বাচিত হন।