
ঢাকা।।
দেশের প্রধান জামাত আয়োজনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ ময়দান। ঈদগাহের মূল প্যান্ডেল, মুসল্লিদের জন্য ত্রিপল বিস্তৃত নামাজের জায়গা নির্মাণ, সৌন্দর্য বর্ধনসহ সম্পন্ন হয়েছে প্রতিটি কাজই।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বুধবার (০৫ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধানসহ সরকারি-বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
এবারের জামাতে গরমের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পুরো ঈদগাহজুড়ে থাকছে ফ্যানের ব্যবস্থা। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রবাহ নিশ্চিতে আছে ভ্রাম্যমাণ জেনারেটর। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পক্ষ থেকে।
কোনো মুসল্লি অসুস্থ হয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকছে এখানে। কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে ডিএসসিসি, র্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে।
ধারণা করা হচ্ছে, পাঁচ হাজার নারী মুসল্লিসহ এবার প্রায় ৯০ হাজার মুসল্লি জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করবেন। মুসল্লিদের চাপ বেশি থাকলে মাঠের বাইরে প্রেসক্লাব থেকে মৎস্য ভবন মোড় পর্যন্ত সড়কে থাকবে চাদর ও মাইকের ব্যবস্থা। এছাড়া এক সঙ্গে যেন দেড় থেকে দুইশত মুসল্লি অজু করতে পারেন সেই প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে।
এবারের জামাতে ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদের বায়তুল মোকাররম সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। তার বিকল্প হিসেবে প্রস্তুত থাকবেন মিরপুরের জামিয়া বায়তুল আরাবিয়া মসজিদের ইমাম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান।
নামাজ আদায়ের প্রস্তুতি ছাড়াও ঈদগাহ ও এর আশেপাশের এলাকা এবং মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ শুরু করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো।
পুলিশের নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এরই মধ্যে ঈদগাহে যাওয়া আসার ডাইভারশন পরিকল্পনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, মৎস্য ভবন মোড়, পুরানা পল্টন মোড়, জিপিও, বঙ্গবাজার মোড়, চাঁনখারপুল মোড় এবং দোয়েল চত্বর থেকে ঈদগাহ পর্যন্ত যানবাহন চলাচলের জন্য বন্ধ থাকবে সড়ক।
সাধারণ মুসল্লিদের টিএসসি-দোয়েল চত্বর হয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করতে হবে। আর বের হতে হবে প্রেসক্লাব বা সচিবালয় মোড় হয়ে।
ঈদগাহ মাঠ বর্তমানে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) এর নিয়ন্ত্রণে আছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ডিএসসিসি-এর অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, ডিএসসিসি, গণপূর্তবিভাগসহ বিভিন্ন সংস্থা যারা ঈদগাহের নামাজ আয়োজন কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছে সবাই নিজেদের কাজ সম্পন্ন করেছে। ময়দানটি আমরা এসএসএফ এর কাছে বুঝিয়ে দিয়েছি। নিয়ম অনুযায়ী, জামাত শেষ হয়ে ভিভিআইপি’রা বের হয়ে যাওয়া পর্যন্ত ময়দান তাদের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে।