নাসিরনগর।।
ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের দক্ষিন সিংহগ্রামের বিদ্যুৎ সরকারের মেয়ে লক্ষী রানী সরকার (২৪) ও তার শিশু কন্যা এক রশিতে ফাঁসিতে ঝুলে চট্রগ্রামে অাত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া ড়েছে।
জানা সেখানে সেখানে জামাতা গোয়ালনগরের শ্রী নন্দ সরকার(৩৫) এর সাথে স্ত্রী লক্ষী এক কন্যা সন্তান সহ চট্রগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানা এলাকায় বসবাস করতেন।সেখানে থেকে চায়ের দোকান চালিয়ে সংসার চালাতেন স্বামী। তাদের তিন বছরের একটি শিশু কন্যা ছিলো । তার স্ত্রীও ছিল অন্তঃস্বত্ত্বা ছিলো।
খোজ নিয়ে জানা যায় গেছে ,ঘটনার অাগের দিন শ্রীনন্দ সরকারের বাসায় তার বোন ও বোন জামাই বেড়াতে যায় ।
বোন জামাইয়ের অাবদার স্থানীয় দুই বন্ধুকে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমন করার । মঙ্গলবার ৩০ জুন স্ত্রী লক্ষী রানী সরকার ও শিশুকে বাসায় রেখে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে অাত্মীয় স্বজন ও বন্ধুদের নিয়ে রওয়ানা দেয় শ্রীনন্দ।
অন্তঃসত্বার কারনে স্ত্রীকে বাসায় রেখে গেছে বলে পুলিশকে জানায় স্বামী শ্রীনন্দ ।সে অারো জানায় কক্সবাজার পৌছার অাগেই এই মর্মান্তিক ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে অাসে তারা।
বাসায় ফিরে এসে দেখতে পায় তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী লক্ষী রানি সরকার ও একমাত্র শিশু কন্যা এক দড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে লাশ হয়ে ঝুলে অাছে।
খবর পেয়ে চট্রগ্রামের পাঁচলাইশ থানার পুলিশ অন্তঃস্বত্তা মা ও শিশুর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে অাসে। লক্ষীরানীর বাপের বাড়ি সিংহগ্রামে খবর দেয়া হয়। ইউপি সদস্য বীরেশ্বর মল্লিক চট্রগ্রাম গিয়ে বিস্তারিত জানতে পারে।
আত্মহত্যা না পরিকল্পিত হত্যা তা ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর স্পষ্ট বুঝা যাবে বলে থানা সুত্রে জানা গেছে।
[gs-fb-comments]Copyright © 2023 Amaderkatha | Design & Developed By: Design Ghor