
ব্রাক্ষণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালে ভর্তির পর মশারি পাননি ছয় ডেঙ্গু রোগী। রোববার রাতে সরেজমিনে এসে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশ করার পরই নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকালে মশারি পায় ছয় ডেঙ্গু রোগী। এতে করে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন রোগীসহ স্বজনরা।
ছয় ডেঙ্গু রোগী হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের জামাল হোসেন, বিজয়নগর উপজেলার গঙ্গানগর গ্রামের জসিম মিয়া, চরইসলাম পুর গ্রামের সাগর মিয়া, নবীনগর উপজেলার মেরকোটা গ্রামের আবুবক্কর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের শান্তিভাগ এলাকার কামাল খান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের কাউসার মিয়া।
তারা শনিবার রাত থেকে রোববার পর্যন্ত ভর্তি হন। তারা কেউই কোনো মশারি পাননি। এতে হাসপাতালে আসা অন্যান্য রোগীসহ স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
পরে ডেইলি বাংলাদেশ প্রতিবেদকের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মশারি না থাকার বিষয়টি জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন জানান, প্রতিনিধির মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর তিনি তাৎক্ষণিক রোগীদের মশারি ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য হাসপাতালের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন। এরই পরিপ্রক্ষিতে সোমবার সকালে ছয় রোগীর বেডে মশারিযুক্ত হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা: মো. আবু সাঈদ জানান, হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে মশারির ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় এই রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনার পাশাপাশি ঝুঁকি থাকবে।