মৃত রাসেল ওই গ্রামের মিজান চৌধুরীর ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সুমন সরকার জানান, রাসেলের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে তিনি ঘর থেকে বের হন। পরে আর ফিরে আসেননি। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা শ্বশুরবাড়ির পাশে একটি পুকুরে রাসেলের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
তিনি আরো জানান, প্রায় চার বছর আগে প্রতিবেশী ওয়াদুদ মিয়ার মেয়ে ফাতেমাকে বিয়ে করেন রাসেল। তাদের ঘরে তিন বছরের একটি সন্তান রয়েছে। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে রাসেলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল।
রাসেলের পরিবারের দাবি, শ্বশুরবাড়ির লোকজনই তাকে হত্যা করেছে।
কসবা থানার এসআই ফারুক হোসেন জানান, রাসেলের শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে বিরোধ নিয়ে বৃহস্পতিবার সালিশ হলেও কোনো মীমাংসা হয়নি। রাতে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। সকালে পুকুরে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
তিনি আরো জানান, রাসেলের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাসেলের স্ত্রী ফাতেমা, তার বাবা ওয়াদুদ মিয়া, ভাই রুবেল ও বড় ভাইয়ের স্ত্রী রহিমা আক্তারকে আটক করা হয়েছে।
কসবা থানার ওসি মো. আসাদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনই রাসেলকে খুন করেছে। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রক্তমাখা একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতন্তের জন্য মরদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
[gs-fb-comments]Copyright © 2023 Amaderkatha | Design & Developed By: Design Ghor