শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রত্না বেগম উপজেলার দরিকান্দি ইউপির ইমাম নগরের মোহন মিয়ার মেয়ে ও একই গ্রামের জমির মিয়ার স্ত্রী।
রত্নার স্বামী জামির মিয়া বলেন, আমার স্ত্রী নিয়মিত তিতাস ইউনিটি হাসপাতালে চেকআপ করাচ্ছিল। ওই হাসপাতালের দেয়া তারিখ অনুয়ায়ী ২১ আগস্ট তার ডেলিভারির কথা ছিল। বিকেলে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক জাহিদ হোসেন খান বলেন, আজকেই রত্নার ডেলিভারি করাতে হবে। পরে চিকিৎসকের কথায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাই। এরইমধ্যে ডেলিভারির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়। পরে চিকিৎসক রত্নাকে ওটিতে নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর চিকিৎসক জাহিদ হাসপাতাল থেকে নীরবে বের হয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় রত্নার শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে কোনো কথা না বলে চলে যান চিকিৎসক জাহিদ।
জামির মিয়া আরো বলেন, এরপর হাসপাতালের এক নার্স আমাকে বলেন, রত্নার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিতে হবে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে। অ্যাম্বুলেন্সে ওঠানোর সময় রত্নাকে অচেতন দেখে আমার সন্দেহ হয়। পরে অন্য চিকিৎসক ও নার্সদের চেপে ধরলে তারা জানায়, রত্না ও আমার যমজ সন্তানরা মারা গেছে। চিকিৎসক জাহিদ হোসেনের ভুল চিকিৎসায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি মো. সালাহ্ উদ্দিন বলেন, প্রসূতি ও যমজ নবজাতক মৃত্যুর খবরে উত্তেজিত জনতা হাসপাতালে ভাঙচুরের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ সময় চিকিৎসক-নার্স কাউকে পাওয়া যায়নি।
[gs-fb-comments]Copyright © 2023 Amaderkatha | Design & Developed By: Design Ghor