আমরা সময়ের কথা সময়ে বলি।

Advertisement

কেনারী মিহিরের বিরুব্দে তদন্ত কমিটি গঠন

জাতীয়, বিশেষ প্রতিবেদন 8 September 2019 ৪৭৭

ব্রাক্ষনবাড়িয়া।।

ভূমি অফিসের কেরানি মিহির কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগের তদন্তে একটি কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন। তনিমা আফ্রাদ নামে একজন সহকারী কমিশনারকে এই তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান সাংবাদিকদের জানান- তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দৈনিক মানবজমিনে ‘ভূমির মিহির’ অফিস করেন ৩ হাজার টাকা ভাড়ার স্পিডবোটে শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় ৪ঠা সেপ্টেম্বর। এরপরই জেলা প্রশাসন ওই তদন্ত কমিটি করে। প্রশাসনের সূত্র জানায়- এই রিপোর্টের পর মিহিরের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কর্তারা আরো অনেক অভিযোগ পাচ্ছেন। এদিকে মিহিরের হাতে হয়রানির শিকার নানা লোকজন তার অপকর্মের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। নবীনগরের শিবপুর মৌজার বিনিময় মামলার (৩৩/৬৯-৭০) একটি ফাইল গায়েব করার অভিযোগ জানান মো. শাহআলম। তিনি বলেন, মিহির ২০১৭ সালে নবীনগরে যোগদান করার পরই তার প্রতিপক্ষের লোকজনের  কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা খেয়ে ফাইলটি গায়েব করে দেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি তৎপর হলে তার কাজের বিষয়ে মিহির জেলা প্রশাসনে গোঁজামিল একটি প্রতিবেদন পাঠান। যা নির্ধারিত ছক মোতাবেক হয়নি। মিহিরকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের(রাজস্ব) কাছের লোক হিসেবেও জানেন জেলার ভূমির কর্মচারীরা। পত্রিকায় রিপোর্ট আসার পর প্রশাসনের এই কর্মকর্তার সাথে মিহির সাক্ষাত করেন বলেও জানা গেছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তাজিনা সারোয়ার বলেন, সে একজন অফিস সহকারী। তার সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই। সে কোন কিছু করলে তার নিজ দায়িত্বেই করেছে। তিনি আরো জানান, সে বেসিক্যালি জেনারেল স্টাফ। ডেপুটেশনে সহকারী কমিশনার-ভূমির কার্যালয়ে কাজ করছিলো। অফিস সহকারী মিহির কুমার ঘোষের জেলা শহরে পাঁচতলা বাড়ি রয়েছে। রয়েছে গাড়ি। ঢাকায় একটি হাসপাতালের মালিক বলেও জানিয়েছেন তার প্রতিবেশীরা। পদে পদে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নেয়ায় সিদ্ধহস্ত মিহির। কোন কোন কাজের জন্যে লাখ টাকাও ঘুষ নেন। জেলা শহর থেকে নবীনগরের কর্মস্থলে যাতায়তে রিজার্ভ স্পিডবোট ব্যবহার করেন এই সরকারী কর্মচারী। যেতে আসতে মোট ৩ হাজার টাকা রিজার্ভের ভাড়া গুনেন । ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে  জেলার নবীনগরে কর্মরত মিহির। এই দু-বছরে সেখানকার সহকারী কমিশনার-ভূমির অফিসকে বানিয়েছেন দুর্নীতির আখড়া।  নামজারি ও জমা খারিজের সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।