
ব্রাক্ষনবাড়িয়া।।
বিজয়নগর উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে প্রয়োজনীয় লোকবল আর যন্ত্রপাতি সংকটের কারণে চিকিত্সাসেবা পাচ্ছে না উপজেলার প্রায় ৪ লাখ লোক। মাত্র তিন জন চিকিত্সক আর চার জন কর্মচারী দিয়ে হাসপাতালে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে চিকিত্সাসেবা।
২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নবনির্মিত ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিত্সাসেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। তবে দীর্ঘসময় পার হলেও এখানে কোনো যন্ত্রপাতি ও লোকবল সরবরাহ না করায় জরুরি বিভাগসহ হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়নি। ফলে তিন জন চিকিত্সক চার জন কর্মচারীকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোরে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন এবং রোগীর ভিড়ে হিমশিম খাচ্ছেন।
চিকিৎসা নিতে আসা তাহমিনা বলেন, নামেই এখানে হাসপাতাল ডাক্তাররা ইচ্ছা করলেও এই হাসপাতালে রোগী ভর্তি করতে পারছেন না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে গিয়ে ডাক্তার দেখাই ।
প্রেসক্লাবের সভাপতি মৃনাল চৌধুরী বলেন, হাসপাতালের উদ্বোধন হলেও এই উপজেলার মানুষ এখনো সুফল পাচ্ছে না। রোগীদের অন্য উপজেলায় গিয়ে চিকিত্সা নিতে হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়দুল মোকতাধির চৌধুরী এমপির সহায়তায় এখানে হাসপাতালের সকল কার্যক্রম শেষ হয়েছে এবং এলাকার লোকরা এ বছরের মধ্যেই সকল সেবা পাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহের নিগার বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের সেবায় বদ্ধপরিকর। প্রশাসনের সবাই উপজেলাবাসীকে সেবা দিতে এসেছি। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই হাসপাতালের রোগীরা সকল সেবা পাবে।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত টিএইচও আশরাফুল আলম স্বপন বলেন, হাসপাতালের আউটডোর চালু আছে। আমরা তিন জন চিকিত্সক পালাক্রমে ডিউটি করে স্থানীয়দের চিকিত্সাসেবা দিচ্ছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট যন্ত্রপাতি ও লোকবল বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন মো. শাহ আলম জানান, এই সপ্তাহে হাসপাতালের টিএইচও এর পদটি সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে আমলাতান্ত্রিক জট খুলেছে। কিছুদিনের মধ্যেই যন্ত্রপাতি আসবে এবং লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে এবং সব ধরনের চিকিত্সা সেবা শুরু হবে।