
ঢাকা।।
ক্যাসিনো ইস্যুতে সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী এমপি, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী সহ ৫ জনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। গতকাল ডাক ও রেজিস্ট্রি যোগে জনস্বার্থে তিনি এ নোটিশ পাঠান। নোটিশ প্রাপ্ত অন্যরা হলেন, স্বরাষ্ট্র সচিব মোস্তফা কামাল এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক। নোটিশের পর আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে রিট করা হবে বলে তিনি জানান।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদ ও পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট-১৮৬৭ এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সংবিধানের ১৮(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- গণিকাবৃত্তি ও জুয়াখেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এছাড়া পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্টের ৩, ৪ এবং ১৩ ধারা অনুসারে এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। নোটিশে তিনি বলেন, সংবিধানের ১৮(২) অনুচ্ছেদ অনুসারে সরকার জুয়া বন্ধে ব্যবস্থা নেবেন। সারাদেশে জুয়া, ক্যাসিনো, মানি লন্ডারিং বেড়ে গেছে। ইদানিং সরকার এসবের সঙ্গে যাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করছে। কিন্তু যারা গডফাদার, তাদেরকে গ্রেপ্তার করছে না। তিনি বলেন, এসব বিষয়ে মিডিয়ায় যা এসেছে, তা কতটুকু সত্য, সে বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানতে চেয়েছি। যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের জবাব না পাওয়া যায়, তাহলে ধরে নেয়া হবে মিডিয়ায় যা এসেছে তা সবই সত্য। এরপর ১০২ অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করবো।
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, মিডিয়াতে এসেছে রাশেদ খান মেনন ইয়ংমেন্স ক্লাবের গভর্নিং বডির সভাপতি। তিনি লাল ফিতা কেটে উদ্বোধন করেছেন। তার ছবি সেই চেয়ারম্যান কক্ষে সাঁটানো। কিন্তু তার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। গত ২৭শে সেপ্টেম্বর মিডিয়ায় দেখেছি পর্যটন দিবস উপলক্ষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ওই মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেছেন, বিদেশিদের জন্য ক্যাসিনোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন। তার এ বক্তব্য অসাংবিধানিক। এছাড়া একজন হুইপ মিডিয়ায় জুয়া বা ক্যাসিনো বন্ধ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। এগুলো বন্ধ হলে ক্লাব কিভাবে চলবে?