
ব্রাক্ষণবাড়িয়া।।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাক্ষণবাড়িয়া বিশ্বরোড এলাকায় খাটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শিয়ালের মাংস সহ ২ যুবককে আটক করেছে ।এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩০ কেজি শিয়ালের মাংস ও কলিজা উদ্ধার করা হয়।সোমবার ২১ অক্টোবর ২০১৯ রোজ সোমবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিশ্বরোড মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা চালিয়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় ৩০ কেজি শিয়ালের মাংস ও কলিজা উদ্ধার করা হয়।
এ সময় সোহেল এবং সাদ্দাম নামক ২ যুবককে আটক করে খাটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলো, সিলেট অঞ্চলের লাখাই উপজেলার মোরাকড়ি এলাকার মাদু মিয়ার ছেলে আজত আলী সোহেল ও একই এলাকার সাবু মিয়ার ছেলে সাদ্দাম (২০)। এ ব্যাপারে খাটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম জানায়, দীর্ঘ দিন যাবৎ এখানে এই অপকর্ম করে আসছে তারা ।
গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে ২১ অক্টোবর ২০১৯ দুপুরের দিকে অভিযান চালিয়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় ২০কেজি শিয়ালের মাংস ও ১০ কেজি কলিজা উদ্ধার করা হয়। এ সময় সোহেল এবং সাদ্দাম নামক ২ যুবককে আটক করা হয়।তিনি আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল এবং সাদ্দাম সিলেটের পাহাড়ী এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি শিয়াল ধরে জবাই করে ৩০ কেজি মাংস বস্তাবন্দি করে হোটেলে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল বলে স্বীকার করেছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকার রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাসির মাংস বলে বিক্রি করছিল ওই দুই যুবক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাউতলি এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে ছয় কেজি মাংস ও কলিজা বিক্রি করেছে তারা। সরাইল-বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে বিক্রি করতে যাওয়ার সময় তাদেরকে আটক কর হয়। তাদেরকে সরাইল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকার নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে ম্যাজিষ্ট্রেট উভয়কে বন্যপ্রাণী আইনে জনপ্রতি ৩ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। পরে তাদের জেলা কারাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকা জানান, চক্রটি শিয়ালের মাংস প্যাকেটজাত করার পর তা খাসির মাংস বলে এখানকার বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে বিক্রি করে আসছিল। এই চক্রের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে শিয়ালের মাংসগুলো চাষকৃত পুকুরের পাঙ্গাস মাছকে খাওয়ানো হয়েছে।