
ঢাকা।।
নিজেদের আসল জেএসডি (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল) দাবি করে আগামী ১১ই জানুয়ারি কনভেনশন ডেকেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতনপন্থিরা। আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউল করিম ফারুক বলেন, জেএসডি সব অন্যায়-অবিচার ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী দল হিসেবে পরিচিত। এই পরিচয় অর্জন করতে গিয়ে কর্নেল তাহের ফাঁসির মঞ্চে ঝুলেছেন এবং সিদ্দিক মাস্টার, এডভোকেট মোশারফ হোসেনসহ প্রায় ২৪ হাজার নেতাকর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে। অথচ জেএসডির নেতৃত্বের একাংশ আজ দলের অংশীদারিত্বের গঠনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার রাজনীতি ভুলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী দল ও গোষ্ঠীর সঙ্গে আঁতাত করেছে। প্রথমে একে নির্বাচনী ঐক্য বলা হলেও নির্বাচনের পর এটি আরও ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠতর হচ্ছে আঙ্গুল কেটে রক্ত শপথের মধ্যদিয়ে। তারা দলের ভেতরে গণতন্ত্র চর্চা বাদ দিয়ে ব্যক্তিতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র ও কোটাতন্ত্রের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। গঠনতন্ত্রবিহীনভাবে কাউন্সিল করে ব্যক্তির ইচ্ছামতো নেতৃত্ব নির্ধারণ করার দিকে এগোচ্ছে, যা দলের নেতাকর্মীরা মেনে নেয়নি। তাই, তাদের প্রেরণাতেই আমরা আগামী ১১ই জানুযারি জাতীয় কনভেনশন করার ঘোষণা দিচ্ছি। দলের এই ভাঙনের জন্য কে দায়ি- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুল মালেক রতন বলেন, এই অবস্থার জন্য দলের নেতৃত্বের একাংশ দায়ি।আমি যেহেতু দলের সাধারণ সম্পাদক, একটা দলের নেতৃত্বে আরেকটা অংশ থাকে। সেটা কে তা আপনারাই বুঝতে পারেন। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সরকারের পক্ষেরও না, বিপক্ষের দলও না। আমরা সরকারকে বলছি আপদ দল ও বিরোধী দলকে বলছি বিপদ দল। অর্থাৎ আমরা একটি তৃতীয় রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সংবাদ সম্মেলনে জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি এমএ গোফরানসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, জেএসডির কেন্দ্রীয় কাউন্সিল (সম্মেলন) আহ্বান করা হয়েছিলো আগামী ২৮শে ডিসেম্বর। এ নিয়ে গত ১২ই নভেম্বর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতনসহ দলের শীর্ষ ৮ নেতা ওই কাউন্সিলকে অবৈধ বলে দাবি করেন