ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে এক পিয়ন নিখোঁজের ঘটনায় তুলকালাম

২৯ নভেম্বর, ২০১৯ : ৩:০১ অপরাহ্ণ ৬৮২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে এক পিয়ন নিখোঁজের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুলকালাম চলছে। গত তিনদিন ধরে ইয়াছিন মিয়া (৪৫) নামের ওই পিয়নকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে গুঞ্জন শোনা যায় । ইয়াছিন নিখোঁজ হওয়ার পর অফিসের বিপুল অংকের সরকারি অর্থ লোপাটের সঙ্গে রেজিস্ট্রি অফিসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও অফিস সহায়কদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে । সাব রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়- জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দির আতুয়াকান্দির হাজী মোহন মিয়ার ছেলে নাসিরনগর সাব রেজিস্ট্রার অফিসের অধীনে পিয়ন হিসেবে কর্মরত আছেন। সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে তাকে ডেপুটেশনে রাখা হয়েছে। প্রায় সময় তাকে দিয়ে অফিসের নকল ফি, তল্লাশী ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি-সহ চালানের টাকা জমা দিতে সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় পাঠানো হতো। গত ২৬ নভেম্বর তিনটি চালানের জন্য এক লক্ষ টাকা দিয়ে তাকে পাঠানো হয় ব্যাংকে। কিন্তু সে টাকাগুলো রেজিস্ট্রার অফিসের নির্দিষ্ট কোডে জমা না দিয়ে রশিদে ভুয়া সীল মেরে জমা দেয়।ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেজিস্ট্রার অফিসের অধীনে টাকা কম জমা হওয়ার বিষয়টি নজরে আসে ঢাকা হেড অফিসের। বিষয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেজিস্ট্রার অফিসকে অবগত করলে সাব রেজিস্ট্রার অফিসের দায়িত্ব প্রাপ্তরা ইয়াছিনকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে যাওয়ার পথে সে পালিয়ে যায়।তারপর থেকে তার মোবাইল নম্বরে কল দিয়েও তার খোঁজ মেলেনি। রেজিস্ট্রি অফিস কর্তৃপক্ষ আশংকা প্রকাশ করছে অদ্যবধি ইয়াছিন মিয়া যেসব টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছে সেইসব জমাকৃত টাকার রিসিটগুলো যাচাই বাচাই করা জরুরি। তাই মিতেন্দ্র নাথ শিকদারের নেতৃত্বে অডিট চলছে। এরই মধ্যে ইয়াছিনকে খুঁজে না পেয়ে ইয়াছিনের পিতা হাজি মোহন মিয়া ও ইয়াছিনের তিন স্ত্রীর মধ্যে দুই স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।ইয়াছিনের পিতা হাজি মোহন মিয়া জানান, সাব রেজিস্ট্রার স্যার আমাকে ডেকেছিল ইয়াছিনের কোন তথ্য আছে কিনা জানতে। তখন ইয়াছিনের বড় দুই স্ত্রীও সেখানে ছিলেন। ইয়াছিনের সাথে কোন যোগাযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকদির ধরে তার সাথে কোনো যোগাযোগ নেই। আমি আরেক ছেলের সাথে থাকি কলেজ পাড়ায়।তবে ধারণা করা হচ্ছে ২০১৪ সাল থেকে এই কাজ চালিয়ে ইয়াছিন বিপুল অংকের অর্থ আত্মসাৎ করেছে। দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাহারুল বলেন, ইয়াছিনের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এখন গুজব ছড়িয়ে ৪/৬ কোটি আত্মসাৎ হয়েছে। আসলে কত টাকা আত্মসাৎ হয়েছে তা অডিট শেষেই বলা যাবে।সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনা তদন্তে মিতেন্দ্র নাথ শিকদারের নেতৃত্বে অডিট কার্যক্রম চলছে।তদন্ত শেষে তারা আইজিআর এর কাছে রিপোর্ট দেবেন।

[gs-fb-comments]
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com