নাসিরনগর।।
৭ ডিসেম্বর নাসিরনগর হানাদারমুক্ত দিবস
গত শুক্রবার ৭ ডিসেম্বর নাসিরনগর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১-এর এই দিনে মুক্তিপাগল জনতা ও দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধারা নাসিরনগর থেকে পাক-হানাদারদের বিতাড়িত করেন। হানাদার মুক্ত করে এই দিনে নাসিরনগরের আকাশে উড়েছিল লাল সবুজের পতাকা। নাসিরনগরের ইতিহাসে এ দিনটি বিশেষ স্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের ১৫ নভেম্বর পাকহানাদার বাহিনী ও এ দেশীয় দোসর রাজাকার,আল-বদরের সহায়তায় উপজেলার বেশ কিছু গ্রামে অগ্নিসংযোগ,লুটপাটসহ নারকীয় তান্ডব চালায়। পাকবাহিনীর অমানবিক নির্যাতনে বহু লোক আহত ও নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও সংগ্রামী জনতা পাক-বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই করে অবশেষে ৭ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা“জয়বাংলা-জয়বাংলা”শ্লোগানে মুখরিত করতে করতে এলাকায় ঢুকতে থাকে,ক্রমেই শ্লোগানের আওয়াজ স্পষ্ট হয়,কেটে যায় শংকা। মুক্তিযোদ্ধাদের কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে মুক্তির উল্লাসে মেতে উঠে স্বরস্তরের মানুষ। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীরা এগিয়ে যায় সামনের দিকে,পিছু হটে হানাদার বাহিনী। নাসিরনগর থানা অভ্যন্তরে (পুলিশ ষ্টেশন) স্বাধীন বাংলার আকাশে লাল সবুজের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এই দিনে নাসিরনগরকে পাক-হানাদার মুক্ত করেন।এদিকে ২০০৮ সালের ২৬ মার্চ নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুক্তিযুদ্ধে যে সকল বীরসেনা আত্মহুতি দিয়েছিলেন তাদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ফলকের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করার দীর্ঘদিন পর প্রয়াত মৎস্য ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট মোহাম্মদ ছায়েদুল হকের সার্বিক সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতায় প্রায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে স্মৃতিসৌধের নিমার্ণ কাজ সম্পন্ন হলেও এখন পর্যন্ত তা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়নি।বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজ্বী মোঃ আবদুল বাকি শহীদ পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধাদের নামের সঠিক তালিকা সম্পন্ন না হওয়ায় ফলক লেখা অসর্ম্পূন রয়েছে। তাই সঠিক তালিকা তৈরি করে দ্রুত উদ্বোধনের দাবি জানান তিনি।
Copyright © 2023 Amaderkatha | Design & Developed By: Design Ghor