
ব্রাক্ষনবাড়িয়া।।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রতীশ চন্দ্র রায়ের দেয়া লিখিত অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ। মামলায় অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে। তবে আসামি সংখ্যা নির্দিষ্ট করা হয়নি।
এর আগে গত সোমবার সকাল ৯টার দিকে জেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরুর আগে সেখানে হামলা চালায় মুখোশ পরা একদল দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা অনুষ্ঠান মঞ্চ ও আগতদের বসার চেয়ার ভাঙচুর এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিযুক্ত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। এ ঘটনায় তিনদিনের মধ্যে বিচার চেয়ে প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দেন মুক্তিযোদ্ধারা। এর ব্যত্যয় হলে মুক্তিযোদ্ধারা নিজেরাই এর প্রতিশোধ নেবেন বলেও হুঁশিয়ারি করেন।মামলার এজহারে বলা হয়, মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মঞ্চ সজ্জা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিযুক্ত ব্যানার এবং মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ছবি দিয়ে জেলা পরিষদ চত্বর সাজানো হয়। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে জেলা পরিষদ চত্বরে প্যান্ডেল, চেয়ার, মঞ্চের টেবিল এবং বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিযুক্ত ব্যানার মুখোশ পরা দুস্কৃতিকারীরা ভাঙচুর করে ঘটনা স্হল ত্যাগ করে। ঘটনার সময় জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী মো. তারিকুল ইসলাম ও একজন অফিস সহায়ক এবং নৈশপ্রহরী দাঁড়িয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান জানান, লিখিত অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।