ব্রাক্ষনবাড়িয়া।।
লকডাউনের মধ্যে জানাজায় হাজার হাজার লোকের উপস্থিতির দায় এড়াচ্ছে সরাইলের প্রশাসন। ওসি সাহাদত হোসেন টিটো বলেন- এতো লোক কোত্থেকে আসবে। এটা কি শোলাকিয়ার মাঠ। আর ইউএনও এএসএম মুসা বলেন, মানুষ বেশী-বেশী বলছে। আমার ধারণা এতো লোক হয়নি। তবে জানাজায় অংশগ্রহনকারী খেলাফত মজলিশের এক নেতা বলেন- প্রশাসন থেকে তাদের কোন বাধা দেয়া হয়নি। বাধা না থাকাতেই সবাই গিয়েছেন। তবে তারা নিজেরাই শঙ্কিত ছিলেন এই পরিস্থিতিতে জানাজায় যেতে পারবেন কিনা।
কিন্তু কোথাও তাদের বাধা দেয়া হয়নি।
শনিবার সকালে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের সিনিয়র নায়েবে আমীর আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী আলোচক মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারীর নামাজে জানাজায় এই লোক সমাগম হয়। আনসারীর নিজের প্রতিষ্ঠিত জামিয়া রহমানিয়া বেড়তলা মাদ্রাসা প্রাঙ্গন ছাড়িয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে জানাজার নামাজের সারি বিস্তৃত হয়। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশেই সরাইলের পানিশ্বর ইউনিয়নের বেড়তলায় এই মাদ্রাসার অবস্থান। ওসি সাহাদত হোসেন টিটোর দাবী- মাদ্রাসার মাঠ এতো বড় নয়। শুক্রবারই জানাজার বিষয়ে তারা মাওলানা আনসারীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এরপর আজ শনিবার সকাল ৯টার পর চারদিক থেকে লোক আসতে শুরু করে। যা ঠেকাতে তারা ব্যর্থ হন। তবে মাইকে সবাইকে দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করতে বলা হয়েছে বলে জানান ওসি। ওসির দাবী সেভাবেই নামাজ হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মাসুদ রানা বলেন- সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু জনসমাগম কমাতে পারিনি। হুজুরদের বুঝিয়েছি। কিন্তু মানুষজন সচেতন না হয়ে এমনটি করেছে। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম মুসা বলেন, সেখানে ওসি সাহেব ছিলেন। তিনিই এটি ভালো বলতে পারবেন। আমি পরে এটি জানতে পেরেছি। এখানে লোক একটু বেশী হয়েছে। তবে এতো লোক হওয়ার কথা না। এটি আমার ধারনা। মানুষ যেটা বলছে বেশী-বেশী বলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন ছিলো। তারা সশরীরে ছিলেন, তারাই ভালো বলতে পারবেন। দেশ এবং জেলার শীর্ষ আলেমরা ছাড়াও মাদ্রাসা ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ যোগ দেন এই নামাজে জানাজায়। জানাজায় লাখো লোকের সমাগম হয়েছে। শুক্রবার বিকেল পৌনে ৬টায় ৫৯ বছর বয়সে জেলা শহরের মার্কাস পাড়ার নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রখ্যাত এই আলেম।
Copyright © 2023 Amaderkatha | Design & Developed By: Design Ghor