ব্রাক্ষনবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে এনাম ভূইয়া নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পৌর শহরের পাওয়ার হাউস রোড সংলগ্ন নিউ মোড়াইল এলাকার একমাত্র পুকুরটি অবৈধ ভাবে ভরাটের কারনে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী। গত ১১ মার্চ বুধবার জেলা প্রশাসক, পৌরসভা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের বরাবর নিউ মৌড়াইল মহল্লাবাসীর পক্ষে মোল্লা মো. শামীম এ অভিযোগ করেন।অভিযোগে উল্লেখ করেন, এলাকায় থাকা শত বছরের একমাত্র পুুকুরটি ভরাট হয়ে গেলে এই এলাকায় আর কোন পুকুর থাকবে না।এখন শুস্ক মৌসুমে এই এলাকায় অনাকাঙ্খিত অগ্নিকান্ড ঘটলে অগ্নি নির্বাপনের জন্য এই পুকুরটি আমাদের একমাত্র ভরসা। যা ভরাট করা হচ্ছে ব্যাক্তিসার্থে।এ ব্যাপারে মো. শামীম বলেন, এক সময় এ পুকুরে আমরা গোসল করেছি, কাপড় ধুয়েছি, গৃহস্থালীর সকল কাজ করেছি। বর্তমানে পরিবেশ অধিদপ্তর অথবা পৌরসভার অনুমতি ছাড়াই মাটি ফেলে দিনে রাতে পুকুরটি ভরাট করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী মৃত হাজী জুরু মিয়ার ছেলে এনাম ভূইয়া। অবৈধভাবে পুকুর দখল করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করা প্রসঙ্গে এলাকাবাসী এ বিষয়ে পুকুর ভরাটকারী এনাম ভূইয়াকে বাঁধা দিতে গেলে তিনি বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, অগ্নি নির্বাপণের জন্য এলাকাবাসীর একমাত্র ভরসা এই শত বছরের পুুকুরটিও আজ হারাতে হচ্ছে। নিউ মৌড়াইল এলাকার তারিফ আহমেদ বলেন, যে কোন মূল্যে আমরা দখল হয়ে যাওয়া পুকুরটি ফিরে পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ আশা করছি।এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ে অনেক অভিযোগ পোষ্ট দিচ্ছেন এলাকাবাসী।সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে পুকুর দখলকারী এনাম ভূইয়ার ভাতিজা সজীব ভূইয়া জানান, আমরা যে জায়গাটি মাটি ফেলে ভরাট করছি তা নিতান্তই আমাদের নিজস্ব জায়গা। এ জায়গা পুকুর অংশের নয়। আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়েই জায়গাটি ভরাট করছি। ছাড়পত্র কোথায় জানতে চাইলে তিনি ছাড়পত্রটি দেখাতে আপত্তি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন নোঙর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর এক সময় শত পুকুরের শহর ছিল। ভূমিদস্যুদের কারণে শহরে আজ পুকুর, শহরের টাউন খাল এবং জলাশয় শূণ্য হয়ে পড়ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে এক সময় শহরে আর কোন পানির ব্যবস্থা থাকবে না। আমরা তাই নোঙর’র পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নদ-নদী, খাল-বিল, জলাশয়, হাওরবাওরসহ দখলকৃত সকল নদ-নদী, খাল, পুকুর ও জলাশয় রক্ষা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যহত রেখেছি। এ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। একই সাথে পরিবেশ অধিপ্তর ও পৌর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দখলকৃত সকল নদ-নদী, খালসহ পুকুরগুলো দখলমুক্ত করে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে দেয়ার জোরালো আহবান জানাচ্ছি।