
ব্রাক্ষনবাড়িয়া।।
করোনা পরিস্থিতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাছিহাতা ইউনিয়নের ৪১২ জন গর্ভবতী মায়ের চিকিৎসা সেবায় নেয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। ইউনিয়নের ৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত চিকিৎসকদের নেতৃত্বে ৫ টি দল করা হয়েছে তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে। রোগীর অবস্থা জটিল হলে জেলা সদরে নিয়ে যেতে চালু করা হয়েছে ফ্রি এ্যাম্বুল্যান্স সার্ভিস। মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল-আমিনুল হক পাভেল তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ্যাম্বুল্যান্স সার্ভিসটি চালু করেছেন। বুধবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়া এর উদ্ধোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার শওকত হোসেন,উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার শাখাওয়াত হোসেন,পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আকিব উদ্দিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এম এইচ মাহবুব আলম,সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিদর্শক এম এ বাছেদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান ভূইয়া,মুফতী রহমত উল্লাহ প্রমুখ। জানা যায়, করোনা সংকট সৃষ্টি হলে মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগিতায় ইউনিয়ন পরিষদ গর্ভবর্তী মা’দের চিকিৎসা সেবার উদ্যোগ নেয়। এলক্ষ্যে ইউনিয়নে গর্ভবর্তী মা’দের তালিকা করা হয়। তালিকায় থাকা ৪১২ জনের মধ্যে আগামী মে ও জুন মাসে মোট ৭৮ জনের সন্তান প্রসবের সময় নির্ধারিত রয়েছে বলে ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মো: আল আমিন জানান। ইউপি চেয়ারম্যান আল-আমিনুল হক পাভেল জানান- আমাদের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী এবং তার পত্নী ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (গ্রেড-১) প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের নির্দেশনাতে গর্ভবর্তী মা’দের তালিকা করে তাদের সার্বক্ষনিক সেবা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। এরই অংশ হিসেবে নিরাপদ প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব সেবা প্রদানে জেলা শহরে নিয়ে যাওয়ার ঝাক্কিঝামেলা এড়াতে এ্যাম্বুল্যান্স সার্ভিসটি চালু করা হয়েছে। কারন লকডাউনে রাতবিরাতে গাড়ির ব্যবস্থা করে একজন গর্ভবর্তী মাকে নিয়ে যাওয়া কষ্টসাধ্য এবং নিরাপদও নয়।